দ্বিতীয় আরেকটি সুপার টুয়েসডে ১৫ই মার্চ। এদিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেট দলের ও রিপাবলিকান দলের প্রার্থী বাছাইয়ে ৫টি করে রাজ্যে প্রাইমারি অথবা ককাস নির্বাচন। প্রথম সুপার টুয়েসডের পরেই এ নির্বাচন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এতেই রিপাবলিকান দলের প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে অনেক প্রশ্নের উত্তর বেরিয়ে আসতে পারে। রিপাবলিকানদের যেসব রাজ্যে নির্বাচন হচ্ছে তা হলো ফ্লোরিডা, মিসৌরি, নর্থ ক্যারোলাইনা, ওহাইও ও নর্দার্ন মারিয়ানা আইল্যান্ডস। এর মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আটকাতে ফ্লোরিডা ও ওহাইওতে অন্যরকম হিসাব চলছে। এ দুটি রাজ্যে যদি মারকো রুবিও ও জন কাসিচ আটকে দিতে পারেন ট্রাম্পকে তাহলেই সমীকরণ পাল্টে যেতে পারে। অন্যদিকে ডেমোক্রেট শিবিরে মিশিগানে গত মঙ্গলবার বড় ধরনের জয় পেয়েছেন ভারমন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। তারপর থেকে তিনি বেশ উজ্জীবিত। মঙ্গলবার ১৫ই মার্চ এ দলের নির্বাচন হচ্ছে ৫টি রাজ্যে। এগুলো হলো ইলিনয়, মিসৌরি, ওহাইও, নর্থ ক্যারোলাইনা ও ফ্লোরিডা। এর মধ্যে কমপক্ষে তিনটি রাজ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারেন বার্নি স্যান্ডার্স। রাজ্যগুলো হলো ইলিনয়, মিসৌরি ও ওহাইও। তবে নর্থ ক্যারোলাইনা ও ফ্লোরিডায় তাকে পিছনে ফেলে জনমতে অনেকটা এগিয়ে আছেন হিলারি ক্লিনটন। এ দুটি রাজ্যে রয়েছে বিপুল সংখ্যক কৃষ্ণাঙ্গ মানুষ। তারা হিলারিকে সমর্থন করেন। সুপার টুয়েসডেতে তারাই তাকে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়েছেন। ফ্লোরিডায় রয়েছে ২৪৬ টি ডেলিগেট। সেখান থেকে ডেলিগেট খসানোর চেষ্টা করবেন বার্নি স্যান্ডার্স। কিন্তু এ রাজ্যের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ রয়েছে হিলারির। এখানে রয়েছেন বেশির ভাগই সংখ্যালঘু ও বয়সী ভোটার। তারা প্রাইমারি নির্বাচনের সময় হিলারির পক্ষ নেন। এদের মধ্যে শতকরা প্রায় ৪০ ভাগই হয়তো হিস্পানিক অথবা কৃষ্ণাঙ্গ। ইলিনয়ে আছে ১৮২টি ডেলিগেট। এখানে প্রাধান্য বিস্তার করেন। কারণ, এটাই তার জন্মভূমি। এ রাজ্যের সঙ্গে তার সম্পর্ক আত্মার। মিসৌরিতে ডেলিগেট আছে ৭১টি, নর্থ ক্যারোলাইনায় ১২২টি, ওহাইওতে ১৫৯টি। এসব রাজ্য থেকে হিলারি যদি ফ্লোরিডা, নর্থ ক্যারোলাইনা ও ইলিনয়ে জিততে পারেন তাহলে বার্নি স্যান্ডার্সের সঙ্গে তার ব্যবধান বেড়ে যাবে অনেক বেশি। নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে একজন প্রার্থীকে পেতে হবে মোট ২৯৫৮টি ডেলিগেটের মধ্যে ২৩৮৩ টি ডেলিগেট। এখন পর্যন্ত হিলারি পেয়েছেন ১২৩১ টি ডেলিগেট। বার্নি স্যান্ডার্স পেয়েছেন ৫৭৬ টি ডেলিগেট।