মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ অপরাজিত ৪৯ , সাকিব আল হাসান ৩৩। এই দুই ব্যাটসম্যানের ব্যাটে ভর করেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে পাঁচ উইকেটে ১৫৬। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অজিদের বিপক্ষে এটা সর্বোচ্চ দলীয় রান। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে সাকিবের ব্যাট থেকে আসে ৬৬ রান যা কিনা বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস। ওই ম্যাচে বাংলাদেশ করে ১৫৩ রান, হারটা ছিলো সাত উইকেটের। এদিনেও হাসলো সাকিবের ব্যাট। ৩৩ রানের ইনিংসটি ছিলো এই ম্যাচের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত। তবে সবার উপরে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ওই ম্যাচে ৬ রান করা রিয়াদ এদিন থামলেন ২৯ বলে অপরাজিত ৪৯ রানে। অ্যাডাম জামপার বলে সাকিব আউট হওয়ার পর পঞ্চম উইকেটে ঝড় তোলেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ২৮ বলে ৫১ রানের জুটি গড়েন তারা। রিয়াদের সঙ্গে ১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিক। তৃতীয় উইকেটে মিথুনকে সঙ্গে নিয়ে ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন বিশ্বের শীর্ষ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এর জন্য ২৫ বল মোকাবেলা করে এই জুটি। মিথুন ২২ বলে ২৩ রান করে জামপার শিকার হলে ধীর হয় রানের গতি। অজিদের পরবর্তী শিকার হন শুভাগত হোম। জামপার বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগ পর্যন্ত ১০ বলে ১৩ রান তোলেন তিনি। তবে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। বিশ্বকাপে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচেও টসে হার বাংলাদেশের। অজিদের আমন্ত্রণে আগে ব্যাট করতে নেমে এদিন, দলীয় ২ রান তুলতেই আউট হন সৌম্য সরকার। ওয়াটসনের বলে ম্যাক্সওয়েলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এরপর মোহাম্মদ মিথুন আর সাব্বির রহমানের ব্যাট হাল ধরে দলের। সৌম্যকে হারানোর ব্যাথা কিছুটা হলেও কমিয়েছে ২৩ রানের এই জুটি। ১৭ বলে ১২ রান তুলে সাব্বিরও ফেরেন ওয়াটসনের বলেই। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে অ্যাডাম জামপার তিন উইকেটের সঙ্গে শেন ওয়াটসন দুইটি উইকেট নিয়েছেন।