অবশেষে সিনেট রিবন কমিটিতে মুখ খুললেন বাংলাদেশের রাজকোষ কেলেংকারিতে প্রধান সন্দেহভাজন কিম ওং। তিনি বললেন, বাংলাদেশের অর্থ চুরি করে ফিলিপাইনে নিয়েছে দু’জন চীনা নাগরিক শুহুয়া গাও এবং ডিং ঝিজি। এর আগে নামসহ তাদের পাসেপোর্টের কপি তিনি একটি ‘সিলড’ বা মুখবন্ধ খামে সিনেট ব্লু রিবন কমিটিতে জমা দেয়ার কথা বলেন। আজ সিনেট কমিটির শুনানিতে হাজির হন তিনি। এতে তিনি বলেন, যে ভুয়া ডকুমেন্ট ব্যবহার করে এই টাকা ফিলিপাইনে নেয়া হয়েছে তাতে আমার কিছু করার ছিল না। ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার কোথা থেকে এসেছে এ বিষয়ে আমি জানি না। দ্বিতীয়ত, ফিলিপাইনে এই ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার নিয়ে এসেছেন ওই দুই চীনা ব্যবসায়ী দু’জন। তাদের একজন ফিলিপাইনে মাঝেমধ্যেই আসা যাওয়া করেছেন। তিনি একজন জাঙ্কেট এজেন্ট।
তিনি আরও বলেন, আরসিবিসি ব্যাংকের জুপিটার শাখার বরখাস্তকৃত ম্যানেজার মায়া সান্তোস দেগুইতো ভুয়া একাউন্ট খুলেছেন চুরি করা ওই অর্থ নেয়ার জন্য এবং তা উত্তোলনের জন্য। তবে এর আগে মায়া দেগুইতো বলেছিলেন, কিম ওং মাত্র একজন বিদেশীকে নিয়ে গিয়েছিলেন তার কাছে একটি একাউন্ট খোলার জন্য। এ বিষয়ে তিনি দেগুইতোর সহায়তা চাওয়া হয়। সেখানে দেগুইতো দু’জন বিদেশীর কথা বলেন নি। দেগুইতো আরও বলেছেন, কিম ওং-ই তার কাছে ৫ জনকে পাঠায় একাউন্ট খোলার জন্য। পরে এসব একাউন্ট ধারীরাই ওই চুরি করা অর্থ পায়। এ বিষয়ে কিম ওং বলেন, ব্যাংক থেকে টাকা ছাড়ের সকল দায় দায়িত্ব মায়া সান্তোস দেগুইতোর।