বিভিন্ন ঘটনার কারণে তিনি আলোচিত। একইসঙ্গে মাঠের লড়াইয়েও তিনি আলোকিত। ব্যাটে-বলে আলো ছড়িয়ে দলকে পথ দেখান। আর পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে বাংলাদেশ দলের আর সবার চেয়ে একটু বেশিই বাস্তববাদী ভাবা হয় বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে। অথচ সেই সাকিবের কাছেই ভারতের বিপক্ষের হারের কোনো ব্যাখ্যা নেই। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেছিলেন, ‘চাইলেও এই ম্যাচ হারা যায় না। কিন্তু আমরা হেরে গেছি।’ হারের জন্য কোনো কারণ দেখাতে পারেননি মাশরাফি। সাকিবও এখানে থেমে যাচ্ছেন। ঠিক কি কারণে মুঠোয় আসা জয়টা হাতছাড়া হয়ে গেছে সেটা জানা নেই বাংলাদেশ প্রাণভোমড়ার। তবে ওই অবস্থা যদি আবারো হয় তাহলে প্রতিবারই বাংলাদেশ জিতবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই সাকিবের। রানার গ্রুপের ব্র্যান্ড অ্যাম্বেসেডর সাকিব একটি অনুষ্ঠানে এ নিয়ে বলেছেন, ‘কেন ম্যাচটা হেরেছি তা আমার জানা নেই। এই প্রশ্নের কোনো উত্তর খুঁজে পাই না। ম্যাচ হারার পর বাংলাদেশ ড্রেসিং রুমে একই অবস্থা বিরাজ করছিল। সবাই খুঁজছিল এই প্রশ্নের উত্তর; কেনও আমরা হারলাম?’ তাই সান্ত্বনাকেই সঙ্গী করছেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার, ‘আমার মনে হয় নতুন করে ১০০বার যদি এই অবস্থায় পড়ি। তাহলে আমরাই ম্যাচ জিতবো। এ নিয়ে নিজেকে সান্ত্বনা দেয়া ছাড়া আর পথ নেই। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের অবস্থা না হয় সেটি হতে পারে আমাদের সবচেয়ে বড় শিক্ষা।’ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডটাই কেবল বলার মতো। সুপার টেনে শুধু হতাশাই মিলেছে বাংলাদেশের। অতৃপ্ত সাকিব বলছেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম চ্যালেঞ্জটা ছিল দ্বিতীয় পর্বে ওঠা। সেটায় আমরা ভালোভাবেই সফল হয়েছি। মূল পর্বেও ভালো ক্রিকেট খেলেছি। কিন্তু ম্যাচ জিততে পারিনি একটিও। তাই নিজের কাছেই অতৃপ্তি রয়েছে।’ বিশ্বকাপ মিশন ভালো না গেলেও প্রাপ্তির কথা ভুলে যাচ্ছেন না সাকিব। বলছেন, ‘২০০৭ সালের পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এখনও বড় কোনো দলকে হারাতে পারিনি। আমাদের প্রাপ্তি রয়েছে অনেক। কিন্তু ম্যাচ না জেতাটাই সবচেয়ে বড় অতৃপ্তি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ অন্যতম আলোড়ন সৃষ্টিকারী দল, এতে কোনও সন্দেহ নেই।’