শুধু সরকার প্রধান, রাজনীতিক, সেলিব্রেটি, ক্রীড়াবিদরাই সম্পদ গোপন করতে ও আয়কর ফাঁকি দিতে পানামাভিত্তিক আইনী সংস্থা মোসাক ফনসেকার আশ্রয় নিয়েছেন এমন নয়। মোসাক ফনসেকাকে ব্যবহার করেছেন বিভিন্ন দেশের নামকরা সব গোয়েন্দা সংস্থাও। জার্মানির যে সুয়েডয়েচে জেইটাং পত্রিকার হাতে মোসাক ফনসেকার এক কোটি ১৫ লাখ গোপন নথি পৌঁছেছে তারা এক প্রতিবেদনে এ কথা বলেছে। ওদিকে, এল সালভাদরের পর এবার পেরুতে মোসাক ফনসেকার অফিস ঘেরাও করেছে কর্তৃপক্ষ। সেখানে তল্লাসি চালিয়ে তারা বিভিন্ন নথি জব্দ করেছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এএফপি। এতে বলা হয, পেরুর আয়কর বিভাগের পক্ষ থেকে ওই ঘেরাও দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এ বিভাগের ২০ কর্মকর্তার একটি দল মোসাক ফনসেকার অফিসে হানা দেয়। তারা এ সময়ে জানতে চান পেরুতে অপরাধ সংঘটনে তারা সহায়তা করছে কিনা। টিভি ফুটেজে দেখা যায়, দাঙ্গা পুলিশ সান ইসিদ্রোতে একটি বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়েছে। পেরুতে মোসাক ফনসেকার হয়ে কাজ করেন মোনিকা ডি ইকাজা। তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, তারা তদন্তকারীদের সহযোগিতা করছেন। ওদিকে জার্মানির পত্রিকা সুয়েডয়েচে জেইটাং বলেছে, বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাদের কর্মকতা-কে ধামাচাপা দিতে শেল কোম্পানি খুলেছে। তার মধ্যে রয়েছে সিআইএর ঘনিষ্ঠ কিছু লোক। এতে বলা হয়েছে, মোসাক ফনসেকার ক্লায়েন্টদের মধ্যে রয়েছেন ১৯৮০র দশকে ইরান-কনট্রা কেলেংকারির কিছু লোক। ওই কেলেঙ্কারিতে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু সিনিয়র কর্মকর্তা গোপনে ইরানের কাছে অস্ত্র বিক্রি করেছিলেন, আমেরিকার জিম্মিদের মুক্ত করতে। মোসাক ফনসেকাকে ব্যবহারে যুক্ত রয়েছেন সিক্রেট সার্ভিসেসের বর্তমান ও সাবেক উচ্চ পর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা। এমন তিনটি দেশ হলো কলম্বিয়া, রোয়ান্ডা ও সৌদি আরব।