আমিনুল ইসলাম বুলু, SwadeshNews24.com: অদ্য ১০ ঘটিকায় এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় কাজী মার্কেট গাজীপুর এক মতবিনিময় সভায় ৩০শে এপ্রিলের মধ্যে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল ফোনের সব গ্রাহকের সিম নিবন্ধন সম্ভব নয় উল্লেখ করে এর সময়সীমা বাড়ানোর দাবি করেছেন বাংলাদেশ মোবাইল ফোন রিচার্জ ব্যবসায়ী এসোসিয়েশনের সভাপতি ও এফবিসিসিআই এর টেলি কমিউনিকেশন, প্রাইভেট ব্রোডকাস্টিং টিভি চ্যানেল, ক্যাবল টিভি নেটওর্য়াক ও প্রিন্ট মিডিয়া বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির মেম্বার মোঃ আমিনুল ইসলাম বুলু। তিনি বলে এখনো প্রায় ৫০ ভাগের উপরে নিবন্ধন বাকী রয়েছে। ২০১৫ ইং সালের ২০ ডিসেম্বর থেকে সিম রি-রেজিস্ট্রেশন শুরু করে মাত্র অর্ধেকের কাছাকাছি পৌছিয়েছে। সেখানে মাত্র ১০ দিনের মধ্যে কোন ভাবেই বাকী অর্ধেক সিমের রি-রেজিস্ট্রেশন সম্ভব নয়। তাই সময় বৃদ্ধি করে দেশের প্রতিটি নাগরিকের সিম রি-রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ করে দেওয়া সরকারের উচিত। বর্তমান যুগে যোগাযোগের একমাত্র বাহন হচ্ছে মোবাইল ফোন শুধুমাত্র ভোটার আইডি কেন প্রয়োজনে রিটেইলারদের কাছে জন্ম নিবন্ধ, পাসর্পোট, ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফটোকপি দিয়ে সিম রি-রেজিস্ট্রশনের ব্যবস্থা করতে হবে।
বুলু আরো বলেন বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম রি-রেজিস্ট্রেশন করতে কোম্পানীগুলো তাদের কর্মচারীদেরকে প্রতি মাসে বেতন দেন ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। সেখানে তারা কাজ করে মাত্র ৮ ঘন্টা প্রতিটি সিম রি-রেজিস্ট্রেশন করতে গড়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় ব্যয় হয়। সে বিবেচনায় রেটেইলাররা একদিনে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ টি সিম রেজিস্ট্রেশন করে একজন রিটেলাইলার পাচ্ছে মাত্র ৫৪ থেকে ৭২ টাকা। সঠিকভাবে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধেনের মধ্যমে আমরাও সমাজের শান্তি শৃঙ্গলা রক্ষার্থে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চাই। কিন্তু এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যারা যুক্ত রয়েছি তাদেরকে কোম্পানীগুলো প্রতিটি সিম রেজিস্ট্রেশন বাবদ কমিশন মাত্র ১ টাকা ৮০ পয়সা প্রদান করছেন। যা রিটেইলারদের প্রতি প্রবঞ্চনার শামিল।
আমিনুল ইসলাম বুলু – দুঃখে করে আরো বলেন ১ যুগের বেশি সময় ধরে, রিচার্জে হাজারে ২৭ টাকা কমিশন দিয়ে কোম্পানীগুলো আমাদেরকে ঠকাচ্ছে, দেশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, সুশীল সমাজ, জ্ঞানী ব্যক্তিরা কোন কথা বলে না। যা আমাদেরকে হতাশ করেছেন। দেশের প্রতি সেক্টরে অর্থাৎ সরকারি, বেসরকারি লোকদের চাকুরীর বেতন বৃদ্ধি পেয়েছে অথচ ১ যুগ ধরে মোবাইল ফোন রিচার্জ ব্যবসায়ীদের কমিশন হাজারে ২৭ টাকাই রয়েগেছে। ২০১২ ইং
সালের কমিশন বৃদ্ধির আন্দোলনের সময় বিটিআরসির পক্ষ থেকে আমাদের সাথে আলোচনার কথা বলে শান্তনা দিয়েছিলেন। কোন অশুভ শক্তির কারণে আমাদের সাথে তারা বসে নাই যা ছিল অত্যন্ত দুঃখ জনক।
বুলু আরো বলেন, ইদানিং দেখচ্ছি যাদের কোন অস্তিত্ব নেই (সরকারের দপ্তরে কোন নিবন্ধন নাই) তারা প্রচারে আসার জন্য বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে নিজেদের স্বার্থ আদায়ের জন্য কিছুদিন পূর্বে প্রতারনা করে ঢাকা রির্পোটাস ইউনিটিতে আমাদের সংগঠনের লাইসেন্স ব্যবহার করে মোবাইল রিচার্জ বন্ধের হুমকি দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক ভূইফোড় সংগঠন। তাই ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বুলু বলেন ভূইফোড় সংগঠন ও প্রতারকদের খপ্পরে নিজেকে জড়াবেন না। মনে রাখবেন যে কোন খাতে সরকারের পক্ষ থেকে একটি লাইসেন্স দেওয়া হয়। যা আমাদের কাছে রয়েছে। তাই প্রতারকদের হাতে থেকে সবসময় সাবধান থাকার আহ্বান জানান। মতবিনিয়ম সভায় উপস্থিত ছিলেন মোঃ জালাল আহমেদ, ইব্রাহিম খান, মোস্তাফিজুর রহমান সুমন, আমিনুল ইসলাম প্রিন্স প্রমুখ।