অভিবাসী বিষয়ে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের নীতির বিরোধিতা করে তার পদত্যাগের দাবিতে জার্মানির বার্লিনে বিক্ষোভ করেছে কয়েক হাজার মানুষ।
এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের হাতাহাতির ঘটনা ঘটলে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে, ইতালি ও অস্ট্রিয়া সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের পরিকল্পনার বিরোধিতা করে বিক্ষোভ করেছে শত শত ইতালিবাসী।
বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ১৩ পুলিশসহ আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। আটক করা হয়েছে ৪০ জনের বেশি বিক্ষোভকারীকে।
শনিবার ইতালি ও অস্ট্রিয়ার মধ্যবর্তী ব্রিনার পাস রেলওয়ে স্টেশন ও এর আশপাশের এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। অভিবাসীদের প্রবেশ ঠেকাতে ইতালি ও অস্ট্রিয়ার সীমান্তে আলপাইন ব্রিনার পাসে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের পরিকল্পনার বিরোধিতা করে বিক্ষোভ করে অন্তত ৫শ’ বিক্ষোভকারী।
এ সময় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের হটানোর চেষ্টা করলে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ।
বিক্ষোভ হয়েছে জার্মানির বার্লিনেও। গত বছর থেকে অভিবাসীদের আশ্রয় দেয়ার বিষয়ে চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের নীতির বিরোধিতা করে বিক্ষোভ করে দেশটির ডান-পন্থি দলের ২ হাজারের বেশি সমর্থক। সমাবেশে বিক্ষোভকারীরা অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের পদত্যাগের দাবি জানায়।
একজন বলেন, ‘আমি এখানে এসেছি আমার পরিবার জন্য, আমাদের সংস্কৃতি, পরিচয় ঐতিহ্য ও আমাদের ভবিষ্যতের জন্য। আমরা বর্ণবাদী নই তবে আমরা আমাদের দেশকে ভালোবাসি।’
আরএকজন বলেন, ‘আমরা এসেছি আমাদের অধিকার ফিরে পেতে। আমরা ইউরোপীয়ান। আমরা যদি আমাদের দেশকে ছেড়ে দেই, তাহলে আমরা কোথায় যাবো?’
এদিকে, শনিবার ভূমধ্যসাগরে কয়েক দফা অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা অন্তত ৭শ’ অবৈধ অভিবাসীকে ইতালির সিসিলি দ্বীপে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে উদ্ধার করা অভিবাসীরা কোন দেশের নাগরিক সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ৩০ হাজারের বেশি অভিবাসী ইতালি পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তুরস্ক-ইইউ চুক্তি কার্যকরের পর থেকে ইউরোপ যেতে ভূমধ্যসাগরের লিবিয়া ও ইতালির মধ্যবর্তী রুট অভিবাসীদের কাছে পছন্দের হয়ে উঠে।