কচি গমপাতার যাদুকরী ক্ষমতা
চুল পাকা রোধ করে, সৌন্দর্য রক্ষা করে ও থ্যালাসেমিয়া রোগে বিশেষ উপকারী
বিশিষ্ট হারবাল গবেষক ও চিকিৎসক
ডা. আলমগীর মতি, বিএইচএমএস (ঢা.বি.)
বাংলা নাম ঃ গম
ইংরেজি নাম ঃ Wheat
বৈজ্ঞানিক নাম ঃ Triticum
পরিচিতি :
গম বিশ্বব্যাপী উৎপাদিত একটি ঘাস জাতীয় উদ্ভিদ। যার আদি উৎপত্তি মধ্যপ্রাচ্যের লেভান্ট অঞ্চলে, কিন্তু এখন গম সারাবিশ্বে চাষ করা হয়। বিশ্বব্যাপী গম এখন প্রোটিনের
নিরামিষ উৎস হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গম এত দিন শুধু শস্য হিসেবে ব্যবহার হলেও আধুনিক গবেষণা অনুযায়ী গম পাতায় রয়েছে বিস্ময়কর সব উপাদান ।
প্রধান উপাদান
ভিটামিন-এ, ভিটামিন-ই, ভিটামিন-সি, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং অ্যামাইনো এসিড।
প্রধান উপাদান
ভিটামিন-এ, ভিটামিন-ই, ভিটামিন-সি, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং অ্যামাইনো এসিড।
উপকারিতা / ভেষজ গুণ
জীবন্ত কোরোফিলের উৎস
কচি গম পাতা জীবন্ত ক্লোরোফিলের উৎস যা মানব দেহের জন্য বিশেষ ভাবে প্রয়োজনীয় ।
ভিটামিন ও মিনারেলের উৎস
কঁচি গম পাতায় ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন-ই, ভিটামিন-সি, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, অ্যামাইনো এসিড পাওয়া যায়।
রক্ত উৎপাদক
৭০ শতাংশের বেশি ক্লোরোফিল থাকায় কঁচি গম পাতাকে গুরুত্বপূর্ণ রক্ত উৎপাদক উপাদান বলা হয়।.
ক্যানসার
সারা পৃথিবী জুড়ে ক্যান্সার আজো আতঙ্কের বিষয়। কারণ বিজ্ঞানীরা এর কোন সুচিকিৎসা পদ্ধতি এবং ওষুধপত্র আবিষ্কার করতে পারেন নি। কেমো থেরাপি, কোবাল্ট রে দিয়ে আক্রান্ত স্থান পুড়িয়ে দেওয়া এবং অপারেশন করে ঘা অথবা টিউমার বাদ দেওয়া হয়। এসব চিকিৎসায় রোগী সাধারণত বেশি বাঁচে না।
থ্যালাসেমিয়া
আরো এক ধরনের ক্যান্সার রয়েছে তাকে চিকিৎসা শাস্ত্রে বলা হয় থ্যালাসেমিয়া বা “ব্লাড ক্যান্সার”। এতে শরীরে কোথাও ঘা অথবা টিউমার হয় না। আমাদের শরীরের মধ্যে যে রক্ত রয়েছে তারউৎপাদন বাধা প্রাপ্ত হয় ও প্রধান উপাদান লোহিত কণিকার সংখ্যা কমে যেতে থাকে। রোগীকে ১৫ দিন অন্তর নতুন করে শরীরে রক্ত দিয়ে কিছুদিন পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখা হয়। এই ধরনের চিকিৎসার সুযোগ গ্রহণ করতে পারে যাদের অর্থবল রয়েছে কিন্ত অধিকাংশ রোগী ধীরে-ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায়।
কিন্তু গম গাছের কঁচি পাতার রস থ্যালাসেমিয়া রোগীদের কাছে এক নতুন আশার আলো দেখাতে সক্ষম হয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে যে সব খবর পাওয়া যাচ্ছে তা খুবই উৎসাহজনক। চিকিৎসা পদ্ধতি একই। রোগীকে কাঁচা পাতার রস খেতে দেওয়া আর টিউমার ফেটে গিয়ে ঘা হলে সেখানে পাতার রস দিয়ে ব্যান্ডেজ করে দেওয়া।
লিভার পরিশুদ্ধ করে
কঁচি গমপাতায় লিভার পরিশুদ্ধকারী উপাদান আছে।
ডায়াবেটিস কমায়
কঁচি গমপাতা রক্তে সুগারের পরিমাণ স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে।
চুল পাকা রোধ করে
চুলের যৌবন ধরে রাখতে জাদুকরি কার্যকারিতা পাওয়া যায় কঁচি গম পাতায়। নিয়মিত কঁচি গম পাতা খেতে পারলে চুলের রং ঘন কালো থাকে এবং সিল্কি হয়।
হার্টের এবং রক্তচলাচল পদ্ধতি বিষয়ক রোগে
এসবের মধ্যে রয়েছে রক্তহীনতা, রক্তে চাপ বৃদ্ধি ও মাথায় রক্তক্ষরণ। গম গাছের কঁচি পাতার রস রক্তহীনতার ক্ষেত্রে রোগী নিশ্চিত আরোগ্য লাভ করবে। সত্যি কথা বলতে কি এই রোগের আজও কোন ওষুধ বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করতে পারেন নি। কিন্তু একমাত্র গম গাছের কঁচি পাতার রসে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বহু রোগী সম্পূর্ণভাবে রোগমুক্ত হয়েছেন।
বয়স ধরে রাখে
কঁচি গমপাতা খেলে জইঈ তে কপার সমৃদ্ধ প্রোটিন পাওয়া যায়। যা মানব দেহে বয়সজনিত কারণে যে পরিবর্তন আসে তার প্রক্রিয়াকে ধীর গতি করতে বিশেষ অবদান রাখে।
অ্যান্টিব্যাকক্টেরিয়াল
ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া উৎপাদন ও বৃদ্ধিতে বাধা প্রদান করে।
সেক্স হরমোন স্বাভাবিক রাখে
ম্যাগনেসিয়ামের আধিক্য থাকায় কঁচি গম পাতা প্রজনন হরমোন বা সেক্স হরমোনের কার্যকারিতা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
শ্বাসপ্রশ্বাসের কষ্ট দূর করতে
এর মধ্যে রয়েছে ঠান্ডা লাগা, হাঁপানী ও বুকে সর্দি বসে যাওয়া। সাধারণত সর্দিতে গম গাছের পাতার রস প্রয়োগ করলে চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে ভাল হয়ে যায়। বহুক্ষেত্রে দেখা গেছে, যাদের সামান্য ঠান্ডায় সর্দি হয় তাদের ক্ষেত্রেও গম গাছের পাতার রস সুন্দরভাবে কাজ করেছে। শুধু তাই নয়, নিয়মিত ব্যবহারের ফলে ঠান্ডা প্রতিহত করার একটা প্রতিরোধ শক্তি রোগীর দেহের মধ্যে গড়ে ওঠে। হাঁপানী একটি মারাত্মক কষ্টদায়ক ব্যাধি। এই রোগটির কবল থেকে মানুষকে মুক্তি দেবার কোন ওষুধই আজ পর্যন্ত আবিষ্কার করা বিজ্ঞানীদের পক্ষে সম্ভব হয় নি। কিন্তু গম চারার কঁচি পাতার রস নিয়মিত গ্রহণ করে বহু রোগী সম্পূর্ণভাবে সেরে উঠেছেন।
হজম সংক্রান্ত ব্যাধিতে
হজমের গোলমাল দীর্ঘদিন চলতে থাকলে কোষ্ঠবদ্ধতা, বদহজম, বমি বমিভাব, অম্বল, বুক ও গলা জ্বালা করা, অন্ত্র এবং পাকস্থলীতে ঘা, অন্ত্র থেকে রক্তক্ষরণ এবং পেটে কৃমির উৎপাত ইত্যাদি হয়ে থাকে। আগেই বলা হয়েছে কোষ্ঠবদ্ধতায় পাতাকে চিবিয়ে তার রস এবং ছিবড়ে গিলে খেলে রোগীকে কোনদিন কষ্ট ভোগ করতে হবে না। অন্ত্র এবং পাকস্থলীতে ঘা হলে পাতার রসের সঙ্গে বাঁধাকপির পাতার রস অর্ধেক মিশিয়ে খেলে তাড়াতাড়ি উপকার পাওয়া যাবে। এছাড়াও হজম শক্তি ফিরিয়ে আনতে এর তুল্য আর কিছু নেই।
দাঁত ও মাঢ়ীর অসুখে
দাঁত ক্ষয় হয়ে যাওয়া, নড়া, মাঢ়ীতে ঘা হয়ে বিষিয়ে যাওয়া, মাঢ়ী ক্ষয়ে যাওয়া এবং মাঢ়ী থেকে রক্ত পড়া। এই সমস্ত ব্যাধি দূর করতে কঁচি গম চারার পাতার রস খুবই উপকারী। কঁচি পাতাকে ভালভাবে ধুয়ে নেবার পর মিনিট পনের ধরে চিবিয়ে রস বার করতে হবে। এরপর সেই রসকে আঙুলের সাহায্যে সামান্য চাপ দিয়ে ঘষলে আবার দাঁত এবং মাঢ়ী স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।
কানের অসুখে
অনেক সময় কানে ঠান্ডা লেগে যন্ত্রণা হয়। এছাড়াও কানের ভেতর ঘা, ফোঁড়া হলে তার থেকে পুঁজ, রক্ত গড়িয়ে বাইরে পড়তে থাকে। কানের বাইরে এক রকম ঘা হয়, ঘা সহজে ভাল হয় না। এই ধরনের ঘাকে আমরা “কানচটা” বলে থাকি। কানের ভেতর ও বাইরে এই ধরনের ঘা ও ফোঁড়া ভাল করার জন্য একমাত্র ওষুধ হচ্ছে কঁচি গম গাছের পাতার রস। এই রস রোগীকে একদিকে যেমন খাওয়াতে হবে তেমনি অপরদিকে ঘায়ে দুবার করে দেওয়া দরকার।
চর্মরোগ
আমাদের শরীরের রক্ত দূষিত হলে বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ দেখা দেয়। ঐসব চর্ম রোগের মধ্যে রয়েছে একজিমা, দূষিত ফুসকুড়ি, ধারালো অস্ত্র অথবা আঘাত পেয়ে কেটে যাওয়া, জন্তু জানোয়ারে কামড়ে দেওয়া অথবা আগুনে পুড়ে ঘায়ের সৃষ্টি হওয়া।
গম গাছের কঁচি পাতার রসের রক্তকে শোধন করার প্রকৃতি প্রদত্ত এক অদ্ভুৎ ক্ষমতা রয়েছে। কাজেই চামড়ার ওপর যাবতীয় ঘা, ফোঁড়া ভাল করতে পাতার রস খুবই উপযোগী। সুতরাং গম গাছের পাতার রস একদিকে যেমন ঘা, ফোঁড়াতে লাগানো হবে তেমনি অপরদিকে রোগীকে রক্ত পরিষ্কার করার জন্য নিয়মিত রস খাওয়ানো দরকার। এছাড়াও ঘায়ে ব্যান্ডেজ বাঁধার সময় গম গাছের পাতার রসে তুলোকে আগে ভিজিয়ে নিয়ে ঘায়ের ওপর সেই তুলো চাপা দিয়ে তারপর ব্যান্ডেজ জড়ানো দরকার।
বিষক্রিয়ানাশক
কঁচি গমপাতা নানান গুণাবলীতে ভরপুর অথচ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া করতে পারে এমন কোন উপাদান এতে খুঁজে পাওয়া যায় নি বরং বিষক্রিয়ানাশক হিসেবে কার্যকর।
নিউ কনসেপ্ট নিউ রিসার্চ উইনডো রিওপেন্ড বাই মডার্ণ হারবাল
গম : হযরত আবুল বাশার সাইয়্যিদিনা আদম (আ:) দুনিয়ায় শ্রীলংকার পাহাড়ে তাশরীফ নিলে হযরত জীবরাইল (আ:) আদম (আ:) এর ক্ষুধা নিবারনার্থে জান্নাত থেকে উটপাখীর ডিমতুল্য জান্নাতী গানদাম অর্থাৎ গম নিয়ে এসে আদম (আ:) এর হাতে দিয়ে দুনিয়ার মাটিতে তা রোপন করে সর্বপ্রথম হুইট গ্রাস অঙ্কুরোদগমের নূতন দিগন্ত উন্মোচন করে। মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ খাদ্য যার জেনেটিক অরিজিন জান্নাতী ও দুনিয়ার পরিবেশের সম্মিলিত ইনট্রিগেটেড ইনফিউশান স্বরূপ গন্দমচাষেও ব্যবহার সূত্রপাত করেন। প্রায় ৭০০০ বছর পূর্বে এই গবেষণা শুরু হয় এবং শেষ প্রান্তে ২০১৬ ইং এ (ডকট্রিন অব সিগনেচার) ও (ল অব সিমিলেরিটি) এর আলোকে পুণরুজ্জীবিত করেন মডার্ণ হারবালের গবেষকবৃন্দ। গমের/গনদমের দৃশ্যমান বা ছুরাত মানবজাতীর প্রজনন অঙ্গের সাদৃশ্য বিধায় সৃষ্টিশীল প্রজনন, দীর্ঘস্থায়ী ও ত্র“টিমুক্ত হিউমেন গ্রোথ হরমোনের রেগুলেশনে আদম (আ:) এর গনদম গ্রাস তথা হুইট গ্রাসের সর্বাংগ অর্থাৎ পাতা (সবুজ), শিকড় (জার্ম), সর্বাংগ উক্ত খাদ্য পথ্য, পুষ্টি, ঔষধ হিসেবে অদ্বিতীয়।