সরকার পতনের আন্দোলন স্থগিত রেখে এখন ঢাকাসহ দেশের ১৯ জেলায় জঙ্গি বিরোধী সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। সব সমাবেশে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বক্তৃতা দেবেন- এমন পরিকল্পনা হচ্ছে। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতারা মনে করেন, জামায়াতের মতো একটি দলকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপির জঙ্গি বিরোধী আন্দোলন হাস্যকর। তাদের মতে, আজকের এই পরিণতি, বিএনপি জামায়াতের অতীত সন্ত্রাসের ধারাবাহিকতা।
সরকার পতন আন্দোলনে বেশ কিছুদিন তৎপর ছিল ২০ দলীয় জোট। তবে অনেকদিন ধরেই মাঠে নেই বিএনপি- জামায়াত।
দীর্ঘ দিন পর মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। এবার জঙ্গি বিরোধী জনমত গড়ে তুলতে সক্রিয় হচ্ছে দলটি।
রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় সভা-সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। সারাদেশে জঙ্গি বিরোধী প্রচারণাও চালাবে দলটি। সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলের চেয়ারপারসন।
বিএনপির এসব কর্মসূচিকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ। নিজেদের দায় এড়াতে নতুন কৌশল নিয়েছে বিএনপি-জামায়াত জোট।
এদিকে, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি বলছে, জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপির জঙ্গি বিরোধী কর্মসূচি লোক দেখানো। জামায়াতকে ত্যাগের পরামর্শ দেন তিনি।