বিদেশে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে প্রায় এক বছর আগে দেশ ছেড়েছিলেন শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক খন্দকার রোকনুদ্দিন। সাথে ছিলেন স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের পাঁচ সদস্য। স্বজনরা শুধু জানেন তারা আছেন একটি মুসলিম দেশে। দেশে থাকা স্বজনদের সন্দেহ জঙ্গি তৎপরতায় সম্পৃক্ত থাকতে পারে রোকনউদ্দিনের পরিবার।
শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক খন্দকার রোকনুদ্দিন। গত বছর দেশ ছাড়ার আগে রামপুরার খিলগাঁও চৌধুরীপাড়ার এই বাসাতেই রোকন, তার স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক মেয়ের স্বামীকে নিয়ে থাকতেন। বাড়িটি রোকনের শ্বশুর আলী আহমেদ দিয়ে গেছেন নিজের দুই মেয়েকে। অফিসের পরে প্র্যাকটিসও করতেন এই বাসার নিচে নির্ভানা হেলথ সেন্টারে।
একই এলাকায় রোকনের শ্বশুরের আরেকটি বাসায় থাকেন রোকনের স্ত্রী নাইমা আক্তারের বাকি পাঁচ ভাই-বোন। রোকনের বর্তমান অবস্থান নিয়ে তেমন কিছু জানাতে না পারলেও, তাদের দেশ ছাড়ার বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেলো বড় শ্যালকের কাছে।
রোকনের স্ত্রী নীলিমার বড় বোন হালিমা জানান, দেশ ছাড়ার পর বেশ কয়েকবার টেলিফোনে যোগাযোগ করেন রোকন। একটি মুসলিম দেশে আছেন, জানালেও নির্দিষ্ট করে দেশটির নাম কখনই বলেননি রোকন-নীলিমা। টেলিফোনে তাদের কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হলেও ঝামেলার ভয়ে পুলিশে যোগাযোগ করেননি বলে জানান স্বজনেরা।
রোকনুদ্দিনের বাসায় এখন আছেন, তার বড় ভাইয়ের দুই মেয়ে শিখা ও সীমা। স্বজনের ধারণা রোকনের পরিবারের সঠিক তথ্য আছে এই দুজনের কাছেই। ক্যামেরায় কথা বলতে রাজি না হলেও ফোনে কথা হয় শিখার সাথে।
রোকনের বড় মেয়ে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী রেজওয়ানা নাদিয়ার বিয়ে হয় সাদ কায়েস শিশিরের সঙ্গে। এই বিয়ের পর থেকেই পরিবারটিতে ধর্মীয় অনুশাসন লক্ষণীয়ভাবে বাড়তে থাকে বলে দাবি স্বজনের।