বাঙালি সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সামনে রেখে জাতি গঠনে কাজ করলেই বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিবাদ নির্মূল করা যাবে বলে মনে করেন বিশিষ্টজনরা। ধর্মীয় উগ্রপন্থা দূর করতে প্রশাসনের সর্বস্তরে শুদ্ধি অভিযান চালানোর পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
শনিবার সকালে রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে এক গোলটেবিল বৈঠকে জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় বিভিন্ন পরামর্শের কথা তুলে ধরেন বক্তারা।
আলোচনায় একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবীর বলেন, মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে পিয়ন পর্যন্ত জামায়াতের লোকজন। প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে জামায়াত বসে আছে। এই প্রশাসন দিয়ে জামায়াত মোকাবিলা করা যাবে না। সন্ত্রাস মোকাবিলা করা যাবে না। যত বাধা আসুক না কেন? জামায়াত-হেফাজতের রাজনীতি বাংলাদেশে বন্ধ করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, সন্ত্রাস দমনে সাফল্য পেতে হলে অত্যন্ত সক্ষম নিরাপত্তা বাহিনী দরকার। সেই বাহিনীর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ থাকা দরকার। একটা শুদ্ধি অভিযান খুবই জরুরি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক অধ্যাপক ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে মৌলিক বিষয়গুলো না দেখতে পাই তাহলে জঙ্গিবাদ বাড়বে। শিক্ষার্থীদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও নৈতিকতা শিক্ষা দিতে হবে।