কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার দিঘীরপাড় ইউনিয়নের আছানপুরসহ পাশ্ববর্তী ৪-৫টি গ্রামে ঘোড়াউত্রা নদী ভাঙ্গনের ফলে গত ২৫ বছর ধরে অনেক পরিবার গৃহহীন হয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। আছানপুর গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিকটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে গত ২০-২৫ দিন আগে। এরই মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিলামের আহবান করা হয়েছে। ঘোড়াউত্রা নদীর উত্তাল স্রোতে গত কয়েক দিনে ১৫-২০টি বাড়ি নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে গেছে। এ গ্রামের প্রায় অর্ধশতাধীক পরিবার বাড়ি ঘর হারিয়ে খোলা আকাশে দিন যাপন করছে। জেলে সম্প্রদায়ের জাল না থাকায় এ সব পরিবারের শিশু, স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা খেয়ে না খেয়ে দিনাদীপাত করছেন বলে এ সব পরিবারের ভোক্ত ভোগী লোক জন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। গত কাল বৃহস্পতিবার সকালে আছানপুর গ্রামের বাড়ি-ঘর হারা অমৃত লাল দাস, শ্রী নিবাস চন্দ্র দাস, অবিনাস, হরিলাল, শিখা রাণী দাস, রতিকান্ত, শিপুল, মিঠু, বকুল, শুকলাল, বাবুল দাস, কৃষ্ণধন, বিরেন্দ্র, দিরেন্দ্র, নরেন্দ্র, দুলাল, দিপক, সুমন, নিবেশ, বিশ্ব, উজ্জল, স্বপন ও অপু চন্দ্র দাসেরা বলেন, গত কয়েক দিনে ঘোড়াউত্রা নদী ভাঙ্গনে ৩০ পরিবার বাড়ি হারিয়েছে ঠিক কিন্তু গত ২৫ বছরে অন্তত ৫০০ পরিবার বাড়ি-ঘর হারিয়ে অন্যত্র চলে গিয়েছে। নির্বাচনের সময় এমপি, ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বাররা বিভিন্ন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যায় কিন্তু পাশ করার পর আমাদের কাছে আর কেহো আসে না। কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ মো: আফজাল হোসেন জানান, নদী ভাঙ্গন কবলিত জেলেদের সহযোগিতা করবেন বলে উল্লেখ করেন। বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা এ.জেড. এম.সারজিল হাসান জানান, নদীর গতিপথ পরিবর্তন না করলে এই গ্রামটিকে রক্ষা করা সম্ভব নয় বলে উল্লেখ করেন।