আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে কমপক্ষে দুটি পিলার দৃশ্যমান করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে পদ্মা সেতুতে। তবে এ লক্ষ্য অর্জনে বর্ষায় পদ্মার প্রবল স্রোত বড়ো বাধা হয়ে উঠতে পারে। স্রোতের কারণে মাওয়া প্রান্তে এর মধ্যে কাজ বন্ধ রাখলেও সেতুর পাইলিং চলছে জাজিরা প্রান্তে। তবে সংশ্লিষ্টরা আশাবাদী যথাসময়ে কাজ শেষ করার ব্যাপারে।
বর্ষার তীব্র স্রোত। উত্তাল নদীতে এ স্রোতের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই চলছে পদ্মা সেতুর কাজ। গত কয়েক মাস ধরেই মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে মূল সেতুর পাইলিংয়ের কাজ বন্ধ রাখতে হচ্ছে। মাদারীপুরের জাজিরা প্রান্তে স্রোত তুলনামূলক কম বলে এখানে তাই পুরোদমে চলছে কাজ।
মোট ৪২টি পিলারের ওপর নির্মাণ করা হবে ৬ দশমিক এক পাঁচ কিলোমিটারের পদ্মা সেতু। গত বছরের ১২ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর মাওয়া প্রান্তের ৬ ও ৭ নম্বর ব্লকে কাজ শুরু হয়। চলতি বর্ষা মৌসুমের শুরুতে কাজ সরিয়ে নেয়া নয় জাজিরায়। এখানে ৩৪ থেকে ৩৯ নম্বর ব্লকে এখন চলছে ৬টি পিলারের কাজ। একটি পিলার তৈরি করতে ৬টি করে পাইল বসানোর প্রয়োজন হবে। মাওয়া ও জাজিরা দুই প্রান্তে সব মিলে ৮ টি পিলারের জন্য ২৪টি পাইল বসানোর কাজ চলছে। লক্ষ্য ডিসেম্বরের মধ্যে অন্তত দুটি পিলারের কাজ পুরো শেষ করা।
পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ডিসেম্বরের মধ্যে অন্তত দুটি পিলারের কাজ পুরো শেষ করা খুব কষ্টের তারপরও এটিকে আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। আশা করি এই চ্যালেঞ্জে সফল হবো।’
বর্ষায় শুধু পাইল বসানো নয়, নদী শাসনের কাজেও এসেছে ধীরগতি। তীব্র স্রোতের কারণে তাই মাওয়া প্রান্তের বদলে জাজিরা প্রান্তে জিও ব্যাগ ফেলার পাশাপাশি ৩টি ড্রেজার দিয়ে চলছে বালি সরানোর কাজ। তবে, বর্ষায় কাজের গতি যাই হোক, নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হবে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।
এখন পর্যন্ত মূল সেতুর ৩৬ শতভাগ কাজ হওয়ার কথা থাকলেও শেষ হয়েছে ২৮ শতভাগ।
যতই আধুনিক যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি ব্যবহার করা হোক না কেন এ বর্ষায় কিছুতেই উপেক্ষা করা যাচ্ছে পদ্মার প্রবল স্রোতকে। তারপরও একদিনের জন্য বন্ধ রাখা যাবে না কাজ। আর তাই গত ৪ মাস ধরে জাজিরা প্রান্তে চলছে মূল পাইলিংয়ের কাজ। যা একই সঙ্গে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করার ব্যাপারে আশাবাদী করে তুলছে জাজিরা দুই প্রান্তে।