চীন থেকে স্প্যান চলে আসার পর এখন নদীতে পুরোদমে চলছে পদ্মা সেতুর পিলার বসানোর কাজ। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে দুটি পিলারের মধ্যে স্প্যান বসিয়ে সংযোগ তৈরির টার্গেটকে সামনে রেখে কাজ এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত মূল সেতুর কাজ শেষ হয়েছে ২৮ শতভাগ।
মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতুর ইয়ার্ড। সুপার স্ট্রাকচারের জন্য বিশেষভাবে নির্মিত দ্বিতীয় ওয়ার্কশপটি ব্যস্ত এখন চীন থেকে আসা স্প্যানগুলো জোড়া দেয়ার কাজে। গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে জাহাজে করে এসব স্প্যান নিয়ে এসে ঠাঁই দেয়া হয়েছে এখানে। চীনে প্রায় ৮০ মিলিমিটার পুরু স্ট্রীলপ্লেট কেটে ওয়েল্ডিং করে তৈরি করা হয়েছে এ স্প্যানগুলো।
মাওয়ায় ল্যাবটেস্ট করার পর ক্রমান্বয়ে ১২৯টি স্প্যানকে জোড়া দিয়ে তৈরি করা হবে প্রায় ৩ হাজার টন ওজনের এক একটি সুপার স্ট্রাকচার। যা দুটি পিলারের মধ্যে বসিয়ে তৈরি করা হবে সংযোগ। আর গার্ডারসহ দ্বিতল সুপার স্ট্রাকচার বসিয়ে দেয়া হলে এর নিচ দিয়ে চলবে ট্রেন ও ওপর দিয়ে অন্য যানবাহন।
মাওয়া ও জাজিরা – দুই প্রান্তে সব মিলে ৮টি পিলারের জন্য এখন নদীতে ২৭টি পাইল বসানোর কাজ চলছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাজিরা প্রান্তের ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলার দুটি পুরো নির্মাণ হলে এদুটি পিলারের মধ্যে বসানো হবে পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যান।
একই সময়ে মূল সেতু থেকে সংযোগ সড়কে নেমে আসার জন্য জাজিরা প্রান্তে চলছে ভায়াডাক্ট পাইলের কাজও। সেতুর পাইলিংয়ের কাজে গতি আনতে আরেকটি হ্যামার যোগ করা হচ্ছে, যেটি এখন সমুদ্রপথে মুন্সিগঞ্জে আসছে।