মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর সঙ্গে কাশিমপুর কারাগারে দেখা করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে পরিবারের প্রায় অর্ধশত সদস্য কারাগারে প্রবেশ করেন। প্রায় তিন ঘণ্টা অবস্থান শেষে কারাগার থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বেরিয়ে আসেন পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে, ফাঁসি কার্যকরের নির্বাহী আদেশ কারাগারে পৌঁছেছে বলে টেলিফোনে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এরআগে, সকাল থেকেই কাশিমপুর কারাগারের চারপাশে এবং কারা ফটকের সামনে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখা গেছে।
সেই সঙ্গে অন্যান্য আসামির স্বজন ও দর্শনার্থীদের ভেতরে ঢোকার ব্যাপারে বাড়তি তল্লাশি এবং কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। দু’দিন ধরে প্রাণ ভিক্ষা চাওয়ার বিষয়টি ঝুলে থাকার পর গতকাল কারা কর্তৃপক্ষকে তার সিদ্ধান্তের কথা জানান মীর কাসেম আলী।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলী দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়, পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছিলেন। গত মঙ্গলবার আপিল বিভাগ সেই আবেদন খারিজ করে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখলে বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হয়।