তার এ সফরে বাংলাদেশ-চীন অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব আরোও বাড়ানোর পদক্ষেপ নিতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
রোববার সকালে রাজধানীতে অর্থনৈতিক রিপোর্টার্স ফোরাম-ইআরএফ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তারা এ পরামর্শ দেন।
আর বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, সরকার সে পথেই হাটছে।
শি চিন পিংয়ের সফরে বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য অনেকগুলো সমঝোতা স্মারক সই হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ-চীন বন্ধুত্ব; প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি। এ নিয়ে অর্থনৈতিক রিপোর্টার্স ফোরাম- ইআরএফ আয়োজিত আলোচনায় দেশ দুটির মধ্যে গত ৪০ বছরের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পারিক সম্পর্কের চিত্র তুলে ধরা হয়।
গত অর্থবছরে বাংলাদেশ চীনে রপ্তানি করেছে ৮০ কোটি ডলারের পণ্য আর চীন থেকে আমদানি করেছে তার চেয়ে প্রায় ১২ গুণের বেশি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চীনের বাজারে রয়েছে বিশাল সম্ভাবনা।
চীন বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতিয় অর্থনৈতিক শক্তিধর দেশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তাদের বিনিয়োগকারীরা। বাংলাদেশেও তারা ১ নম্বর বৈদেশিক বিনিয়োগকারী হতে চায়। এ সুযোগ নিতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন আলোচকরা।
বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, চীনের বিনিয়োগকারীদের আমন্ত্রণ জানাতে প্রস্তুত বাংলাদেশ— এরইমধ্যে তাদের জন্য একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কাজও চলছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন , বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ যত বাড়বে দেশটিতে বাংলাদেশের রপ্তানিও তত বাড়বে।