কালের বিবেচনায় ২৪ ঘন্টা কিছুই নয়, তবে যদি হয় শি জিনপিংয়ের বিদেশ সফর, সে ২৪ ঘন্টা তো শ্বাসরুদ্ধকর, নড়েচড়ে বসে বিশ্বশক্তি, মিডিয়া সরগরম। চীনা প্রেসিডেন্ট ঐতিহাসিক ২৪ ঘন্টা সফরে ঢাকায়। বিমান থেকে নেমেই ব্যস্ততা। ২৬টি চুক্তি ও এমওইউ সই, যা হবে অামাদের অর্থনীতির টার্নিং পয়েন্ট। আজ জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়ে উড়ে যাবেন দিল্লী। শুভকামনা মি. শি।
বিশ্ব মিডিয়ার তীক্ষ্ণ নজর ঢাকায়। চলছে চুলচেরা ও গলদগর্ম বিশ্লেষণ। আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ঐতিহাসিক ঢাকা সফর। ১৯৯৩ সালে শেখ হাসিনার বেইজিং সফরকালে শি জিনপিং ছিলেন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সর্বকনিষ্ঠ পলিট ব্যুরো সদস্য। সময়ের ব্যবধানে দুজনেই স্ব স্ব দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান। অনন্য উচ্চাতায় দু’দেশের সম্পর্ক। উষ্ণ অভিনন্দন শি জিনপিংকে।
ভূ-রাজনীতিতে এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশ। অামাদের পাশ কাটিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি, সমৃদ্ধি, প্রগতি ও উন্নয়ন এক কথায় অকল্পনীয়। এই গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে পৌঁছুতে শেখ হাসিনার সরকার বিগত ৮ বছর নিরলস কাজ করেছেন। একুশ শতকের প্রতিযোগিতা মোকাবেলায় কার্যকরি অবকাঠামো নির্মাণে অামাদের সহায়তায় বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছে চীন। চীনকে স্বাগতম।
চীনের অর্থনৈতিক অগ্রগতি তাঁক লাগানো। ৩০ বছর অাগের চীনের সাথে বর্তমান চীনকে মেলানো কষ্টকর। সমাজতন্ত্রের সাথে উদার অর্থনীতি মিশিয়ে চীন বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনৈতিক শক্তি। বিশেষ করে শি জিনপিং-এর হাত ধরে অবিশ্বাস্য গতিতে ছুটছে চীন। ক্ষমতাশালী সেনাবাহিনীকে নিয়ন্ত্রন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর সাহসী যুদ্ধ অবাক করারই মতো। প্রভাবশালী সেনা কর্মকর্তারাও দুর্নীতির জবাবদিহি করতে বাধ্য হয়েছে।
লম্বা সময়ের উন্নয়ন সহযোগী চীন, সফরে কি পেল বাংলাদেশ? জিনপিংয়ের সফরের দীর্ঘ প্রত্যাশা ছিল। প্রত্যাশা ছিল বিশাল ঋণপ্রাপ্তির যা দিয়ে তাপ বিদ্যুত কেন্দ্র, কর্নফুলি নদীতে টানেলে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ফোরলেনে ১৪ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি হলো, পাশাপাশি বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক পৌঁছলো নতুন উচ্চতায়। এই মধুর সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হোক।।
জয়বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।।