দীর্ঘ দিন আওয়ামী লীগের কাছে দু’টি দাবি ছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড ও যুদ্ধাপরাধীর বিচার। এই দু’টোই প্রায় সম্পন্ন। তাহলে সরকারের কাছে জনগনের প্রত্যাশা কি? যদি বলি যুদ্ধাপরাধ বিচার শেষ করতে আওয়ামী লীগের দরকার, সেটি কি ঠিক হবে? না ঠিক হবে না। বরং ‘উন্নয়ন ও সুশাসন’ নিশ্চিত করলে মানুষের অন্তরের দাবি হবে, “আওয়ামী লীগ সরকার, বারবার দরকার”। সফল সম্মেলনের জন্য মোবারকবাদ।
তৃণমূল থেকে কেন্দ্র, বিশাল দল আওয়ামী লীগ। স্মরনকালের মধ্যে পরিশীলিত ও সুশৃঙ্খল ভাবে দলটি ২০তম জাতীয় সম্মেলন সম্পন্ন করেছে। অতিথি-অভ্যাগতের অাপ্যায়ন থেকে সর্বত্রই ছিল নিষ্ঠার ছাপ। কর্মী-সমর্থকদের আন্তরিকতা ছিল চোখে পড়ার মতো। নতুন নেতৃত্ব, ভবিষ্যত কর্মপন্থা সুচারুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এখন দ্বিতীয় ধাপ, নির্বাচন প্রস্তুতি এবং উন্নয়নকল্পে সুশাসন নিশ্চিতের কাজ।
ক’মাস পরেই ৬৮ বছরে পা দিবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। মেঘে মেঘে বেলা কম হয়নি। আওয়ামী লীগের গঠন থেকে আজ পর্যন্ত দলটির নেতৃত্বে এসেছেন অনেকেই। তবে উল্লেখযোগ্য সাফল্য এসেছে দু’বার। একবার এই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে, দ্বিতীয় বার তাঁরই কন্যা শেখ হাসিনার আমলে। এই দু’টোই আওয়ামী লীগের সোনালী যুগ। সাফল্য কার বেশি, বঙ্গবন্ধু না শেখ হাসিনার সে বিশ্লেষণ করবে অনাগত ভবিষ্যত।
মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনে দেয়া ভাষনে দু’টি জিনিসে গুরুত্বারোপ করেছেন, দারিদ্র বিমোচন ও সুশাসন। রাজনৈতিক নেতৃত্বের ব্যক্তিগত সততা, ন্যায়-নিষ্ঠা ছাড়া সরকারের অনেক শুভ উদ্যোগ ব্যর্থ হয়ে যায়। দেশে এখন পর্যন্ত শতাধিক কর্মসূচী চালু আছে যে গুলো যথাযথ বাস্তবায়ন করা গেলে দারিদ্র বিমোচন বহুলাংশে আলোর মুখ দেখতো। আমাদের নেতৃত্বের একটি ক্ষুদ্র অংশের নষ্ট মনোবৃত্তিই এই কার্যক্রম বাস্তবায়নে অন্তরায়।
আগামী নির্বাচন হবে সব দলের অংশগ্রহনমূলক একটি নির্বাচন। মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী কোন অবস্থায় ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন চান না। তাই আওয়ামী লীগকে এখন থেকেই সেই নির্বাচনের লক্ষে এগুতে হবে। শেখ হাসিনা জানেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে এই যে বিশাল কর্মজজ্ঞ শুরু করেছেন এর পুরোটাই লুটপাটকারিদের পকেটে যাবে। দেশের মানুষের স্বপ্ন থেকে যাবে অধরাই। সর্বস্তরে সুশাসন মানেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা।।
জয়বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।।