ভোটের আসল যুদ্ধ শুরু না হতেই ডোনাল্ড ট্রাম্প পরাজয়ের আশঙ্কার কথা বলছেন বলে মন্তব্য করেছেন হিলারি ক্লিনটন। তবে ট্রাম্প বলেছেন তিনি এখনো জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।
ওবামার স্বাস্থ্যনীতির সমালোচনা করে এর পরিবর্তন আনতে শেষ সুযোগ হিসেবে তাকেই ভোট দেয়ার আহবান জানান ট্রাম্প।
এদিকে সিএনএন ও ওআরসির যৌথ জরিপে ট্রাম্পের চেয়ে পাঁচ শতাংশ সমর্থন বেশি পেয়ে এগিয়ে আছেন হিলারি ক্লিনটন।
দরজায় কড়া নাড়ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। বিভিন্ন রাজ্যে নেয়া হচ্ছে আগাম ভোট। সোমবার টেক্সাস এবং কানসাসে এভাবেই লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটাররা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেন।
একজন বলেন, ‘এরকম আগে আগে ভোট দেয়ার আনন্দ অন্যরকম। নির্বাচনের দিন যদি কোন কারণে ভোট দিতে যেতে না পারি, অসুস্থ থাকতে পারি কিংবা কোন দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। তাই আগে ভোট দেয়াটাই নিরাপদ মনে করি আমি।’
তবে আগাম ভোট গ্রহণে কারচুপি হচ্ছে এমন অভিযোগ বারবার করে আসলেও নিজের সমর্থকদের ভোট দেয়ার আহবান জানান রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ফ্লোরিডা, যে অঙ্গরাজ্যকে লড়াইক্ষেত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয় সেখানে প্রচারণায় গিয়ে ট্রাম্প ওবামার স্বাস্থ্যনীতির ব্যাপক সমালোচনা করে বলেন, এ স্বাস্থ্যনীতি পরিবর্তনের জন্যই তাকে ক্ষমতায় যেতে হবে। তিনি বলেন বিভিন্ন জরিপে পিছিয়ে থাকার খবর আমলে না নিয়ে তাকেই যেন ভোট দেয়া হয়।
একজন বলেন, ‘আমাদের জিততে হবে তার অন্যতম একটি কারণ হলো ওবামার স্বাস্থ্যনীতি বাতিল করা। আর এ নির্বাচনই শেষ সুযোগ, একে আপনারা কাজে লাগান।’
ট্রাম্প তার সমর্থকদের যতই ভোট দেয়ার আহবান জানান না কেন, হিলারি বলছেন ট্রাম্প আগে ভাগেই পরাজয়ের আশঙ্কা করছেন। সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেনকে সঙ্গে নিয়ে নিউ হ্যাম্পশায়ারে এক সমাবেশে যোগ দিয়ে এমন মন্তব্য করেন এ ডেমোক্রেট প্রার্থী।
ওয়ারেন এসময় ট্রাম্পের নারী কেলেঙ্কারির তীব্র সমালোচনা করেন। আর হিলারি আবারও বলেন, ট্রাম্প ধৈর্য্যহীন, অযোগ্য এক প্রার্থী।
তিনি বলেন, ‘আসল যুদ্ধ শুরু না হতেই ট্রাম্প পরাজয়ের আভাস দিচ্ছেন। তিনি বিশ্বকে প্রমাণ দিয়ে যাচ্ছেন একজন অযোগ্য নেতা কেমন হতে পারেন। তাকে ভোট দেয়া শুধু ভুল নয় ভয়ানক বিপজ্জনক বিষয়। তাকে প্রেসিডেন্ট হতে দেয়া যাবে না।’
হিলারি জয়ের ব্যাপারে দিন দিন আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী হচ্ছেন। কারণ এ পর্যন্ত সব জরিপে ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে আছেন তিনি। সিএনএন ও ওআরসি’র জনমত সবশেষ জরিপে ট্রাম্পের চেয়ে ৫ শতাংশ বেশি সমর্থন পেয়েছেন হিলারি।
ট্রাম্প ৪৪ শতাংশ এবং হিলারি ৪৯ শতাংশ সমর্থন পেয়েছেন। অন্যদিকে নারীদের মধ্যে এক জরিপ চালানো হয়েছে সেখানেও এগিয়ে আছেন হিলারি ক্লিনটন। ৫৩ শতাংশ নারী হিলারিকে সমর্থন দিচ্ছেন আর ৪১ শতাংশ নারী সমর্থন দিচ্ছেন ট্রাম্পকে।
এবিসি নিউজের এক জরিপেও হিলারি ট্রাম্পের চেয়ে অনেক ব্যবধানে এগিয়ে। হিলারির পক্ষে ৫০ শতাংশ সমর্থন আর ট্রাম্পের পক্ষে আছে ৩৬ শতাংশ সমর্থন।
তবে জরিপে যতই পিছিয়ে থাকুন ট্রাম্প জনসমর্থন বাড়াতে এখনও নানা পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি। তার প্রচারণা শিবির ফেইসবুকে সরাসরি একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
প্রতিদিন স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় ৩০ মিনিটের এ সরাসরি আলোচনা অনুষ্ঠান দেখা যাবে।