আওয়ামী লীগ অন্য দশটি দলের মতো গড্ডালিকায় গা ভাসায় না। স্বাধীনতার নেতৃত্ব দেয়া আওয়ামী লীগের কাছে মানুষের সব প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রী এটি অনুধাবন করেন। সেই প্রত্যাশা পুরন করতেই তিনি সুষ্ঠু নির্বাচনের ঘোষনা দিলেন। বিএনপি বড় দল, আওয়ামী লীগ এই দলটিকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নিয়ে এলে সরকারের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল হবে, আশান্বিত হবে দেশের জনগণ।
বিএনপিকে নির্বাচনে আনার ভাবনা শুভ। আগামী নির্বাচন নিয়ে শেখ হাসিনার বক্তব্য রাষ্ট্রনায়কোচিত। সত্যিকার রাষ্ট্রনেতার কাছে গুরুত্বপুর্ন তাঁর দেশ ও জনগণ। অবলীলায় বুঝেন জনগনের ভাবনা, এটি দুরদৃষ্টির প্রকাশ। ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন যেমন নৈতিক মানদন্ডে বিশুদ্ধ ছিলনা, অন্যদিকে বিএনপি’র ভূমিকাও ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। সেক্ষেত্রে ‘সকল দলের অংশগ্রহণে হবে আগামী নির্বাচন’ শেখ হাসিনার এই স্পষ্ট বক্তব্য মানুষকে আশান্বিত করেছে।
মানুষ তাঁর সীমিত জীবনের আয়ু দিয়ে অমরত্ব লাভ করে কর্মের মাথ্যমে। যে কোনো কাজ সর্বোচ্চ সততা ও সাহসের সাথে করলে সফলতা নিশ্চিত, এমন দৃষ্টান্ত বিরল নয়। বঙ্গবন্ধুর শক্তি ছিল সীমিত কিন্তু উদ্দেশ্য ছিল মহৎ, লক্ষ ছিল ম্থির। তাই তো একটি নিরস্ত্র জাতি নিয়ে স্বাধীনতার পতাকা ছিনিয়ে এনেছিলেন। তাঁরই কন্যা রাষ্ট্রক্ষমতায়, বাবার মতো তাঁরও সাহসী হতে হবে, আস্থা রাখতে হবে জনগনের উপর।
সবাই একবাক্যে বলেন, অমিত সম্ভাবনার এই দেশ। ঝড়-জলোচ্ছাস বা শূণ্যঝুড়ির অবস্থানে নেই আমরা। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের মহাজজ্ঞ চলছে। অর্জন করতে হবে রূপকল্প-২০২১ ও ২০৪১। এজন্য চাই স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ। বিএনপি-জামায়াত রাজনীতির দুষ্টু ক্ষত, দেশের অকল্যাণ করতে পারঙ্গম। সরকারের উচিত উন্নয়ন কর্মকান্ড দিয়ে বিএনপিকে মোকাবেলা করা। জনগন চায় সুশাসন, দুর্নীতি রোধ, কর্মসংস্থান। আওয়ামী লীগকে এগুলো নিশ্চিত করতে হবে।
শেখ হাসিনা সময়ের সাহসী নেত্রী, চ্যালেঞ্জ নিতে যাঁর জুড়ি নাই। সরকার বিএনপিকে নির্বাচনে আনার চেষ্টা করলে জনগনের সমর্থন আওয়ামী লীগের কোর্টেই জমা হবে। তাই বিএনপিকে নির্বাচনী বৃত্তের বাইরে রাখা হবে বিপজ্জনক। সরকার বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের মেঘা উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন করতে চায়। সেক্ষেত্রে জ্বালাও-পোড়াও মার্কা বিএনপিকে পালের বাইরে রাখা চলবে না। সরকারের সুষ্ঠু নির্বাচনের সিদ্ধান্তকে স্বাগতম।।
জয়বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।।