কখনো কি ভেবেছেন জেলখানায় থাকতে কেমন লাগে? অন্ধকার, ঘুপচি ঘরে বন্দি থাকার অনুভুতি কেমন? দেশের নাগরিকরা হয়তো খুব শিগগিরই সুযোগ পাবেন, পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডে, ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে অর্থের বিনিময়ে বন্দি জীবনযাপনের।
এমন পরিকল্পনা করছে জেল কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি পুরান ঢাকাবাসীর জন্য এক টুকরো সবুজ খোলা উদ্যান হিসেবে গড়ে তোলা হবে সদ্য সাবেক হওয়া কেন্দ্রীয় কারাগারটি। পুরনো এই গানের সাথে তাল মিলিয়ে পুরনো হয়ে গেছে এখন নাজিমউদ্দিন রোডের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার। সব বন্দিকে নেয়া হয়েছে কেরানীগঞ্জে নির্মিত নতুন কারাগারে। এরআগে থেকেই আলোচনায় বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতাসহ প্রায় আড়াইশো বছরের স্মৃতি বিজড়িত এই কারাগারের ভবিষ্যত কি?
৩রা নভেম্বর জেল হত্যা দিবস সামনে রেখে প্রথমবারের মতো জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে লাল দালান। মানুষ নিজে চাখে দেখতে পারবেন যেখানে রাখা হয়েছিলো চার নেতাকে। ১৫ বছরেরও বেশি সময় বিভিন্ন ধাপে এ কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।
তার ব্যবহৃত সব কিছুই সযতনে রাখা এখানে। তাও দেখা যাবে হাত ছোয়া দুরত্ব থেকে। তবে ভয়ের এবং আশংকার জেলজীবনের স্বাদ নেয়ার সুযোগও তৈরি হচ্ছে নতুন পরিকল্পনায়। অর্থের বিনিময়ে বন্দির মতো করে রাত কাটানো যাবে এই কারাগারে।