শাড়ির সাথে চুড়ি পরার রীতি প্রচলন থাকলেও, আজকাল সালোয়ার কামিজ, ফতুয়া, লং স্কার্টের সঙ্গেও চুড়ি পরার ফ্যাশন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দু’হাত ভর্তি চুড়ির রিনিঝিনি শব্দ সাজে এক অন্য মাত্রা এনে দেয়। যেকোনো উৎসব আয়োজনের দিন জমকালো সাজের সঙ্গে একগুচ্ছ চুড়ি যেন না পরলেই নয়!
কাচের চুড়ির ইতিহাস ১শ’ বছরেরও পুরোনো। সম্ভ্রান্ত জমিদার ও নবাব পরিবারের নারীদের হাতে রেশমী চুড়ি থাকাটা ছিল অবধারিত। সে সময় চুড়ি প্রধানত কাচ থেকে তৈরি হতো। তবে শামুকের খোল, তামা, ব্রোঞ্জ, সোনা ও হাতির দাঁতের চুড়িও তখন ছিল।
বর্তমান ফ্যাশনে কাচের চুড়ির পাশাপাশি বিভিন্ন এক্সেসরিজ ও মেটালের তৈরি চুড়ির ব্যবহারও বাড়ছে। তরুণ প্রজন্মের কাছে বাহারি ডিজাইনের এসব চুড়ির গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে বেশি।
আধুনিকতার ছোঁয়ায়, এখন মানুষের আগ্রহ বেড়েছে নান্দনিকতায়। তাই কাচের চুড়িতে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে শিল্পের বাহারি ডিজাইনের ছোঁয়া। রেশমী চুড়ির পাশাপাশি সমানভাবে জায়গা করে নিয়েছে চৌকোনা, ত্রিকোণ, ডিম্বাকৃতির প্লাস্টিক ও মেটাল চুড়ি।
মাটি, সুতা, চামড়া, ব্যাকেলাইট, রাবার, কাঠ, মাটি, বিডস, পুঁতি, সিটি গোল্ডসহ নানা ধরনের চুড়ির ব্যবহার বাড়ছে। এগুলো চুড়ির বৈচিত্র্য বাড়িয়ে দিয়েছে
উৎসবের সাথে মিলিয়েই আমাদের দেশে বৈশাখে লাল সাদা, বসন্তে লাল-হলুদ, বাসন্তী চুড়ি আবার বিভিন্ন দিবসে যেমন একুশে সাদা-কালো, সামনে আসছে বিজয় আর স্বাধীনতা দিবসে লাল-সবুজ রঙের চুড়ি হাতে পরে থাকে নারীরা।
দর দাম
উৎসব ছাড়াও সারা বছর চুড়ি পরা যায়। একটু ভালো মানের এক ডজন চুড়ির দাম পড়বে ৫০ থেকে ৭০ টাকা । এছাড়া রয়েছে জয়পুরী স্টিল-৩০০, সুতি চুড়ি-৭০ টাকা। মুক্তার বালা-স্টোন, গ্লিটার আর মুক্তার সংমিশ্রণে তৈরি। বালাগুলো দেখতে খুব সুন্দর। জয়পুরী চুড়ির ক্ষেত্রে হালকা মেটাল, কাচ ও মাটির মিশ্রণে তৈরি চুড়িগুলো এখন অনেক জনপ্রিয়। নকশাভেদে এসব চুড়ির দাম পড়বে প্রতি জোড়া ১৫০-৮০০ টাকা।
যেখানে পাবেন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার সামনে থেকে টিএসসি মোড়, কলা ভবন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, দোয়েল চত্বরে বসে রঙবে রঙের চুড়ির বাজার। এছাড়া ইডেন কলেজ, গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের সামনে, নিউমার্কেট, গাউসিয়া, চাঁদনী চক, আজিজ সুপার মার্কেটে পাওয়া যায় রেশমী চুড়িসহ বাহারি চুড়ি। তাছাড়া এখন বিভিন্ন শপিংমলেও পাওয়া যাবে এই ফ্যাশনাবেল চুড়ি।