নব-নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে তাকে হোয়াইট হাউজে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে বারাক ওবামা’র সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেখা করার কথা রয়েছে।
নতুন প্রেসিডেন্টকে মার্কিন পররাষ্ট্রদপ্তরের কর্মকর্তারা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে মেনে নিয়ে ইতিবাচক সামাজিক পরিবর্তনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সহযোগিতা করার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ইসলামি সংগঠন।
২০১৭ সালের ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেদিনই হোয়াইট হাউস ছাড়ছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকলেও, নতুন প্রেসিডেন্টের ট্রাম্পের আগামী দিনগুলো ভালো কাটবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ওবামা।
বারাক ওবামা বলেন, নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাফল্য কামনা করছি। আশা করছি, যুক্তরাষ্ট্রের ঐক্যবদ্ধতা ধরে রাখতে ও অগ্রগতি নিশ্চিত করতে সঠিক নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবেন ট্রাম্প।
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। নিউজিল্যান্ডে রাষ্ট্রীয় সফরে থাকা কেরি বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তাদের সম্পূর্ণ সহযোগিতা পাবে ট্রাম্প প্রশাসন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ডেমোক্র্যাট বা রিপাবলিকান যিনিই প্রেসিডেন্ট হোন না কেন, তিনি দেশের স্বার্থ ও মূল্যবোধের চর্চা অব্যাহত রাখবেন।
মুসলিম বিরোধী মন্তব্য করে প্রচণ্ড বিতর্কের মুখে পড়া ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে মেনে নিয়ে, তার সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার কথা জানান মার্কিন মুসলিম নেতারা। বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন ইসলামি সংগঠনের নেতারা বলেন, ইতিবাচক সামাজিক পরিবর্তনে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সহযোগিতা করবেন তারা।
ইসলামি সংগঠনের এক নেতা বলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা আমাদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করতে পারবে না। গণতন্ত্রের নীতি অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট পদে থাকা ব্যক্তির সঙ্গে কাজ করে যাবো আমরা। যুক্তরাষ্ট্রের সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমেই শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করা যেতে পারে। সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সংহিসতা কমিয়ে আনা সম্ভব।
ট্রাম্পের বিজয়ে ‘গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড’ এ ওবামা প্রশাসনের ৩শ’ কোটি ডলার বরাদ্দের সিদ্ধান্ত বাস্তাবায়নের বিষয়ে আশংকা প্রকাশ করেছেন পরিবেশবাদীরা। তবে, প্রেসিডেন্ট যিনিই হোন না কেন, পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে ওয়াশিংটনের বর্তমান অবস্থানের পরিবর্তন হবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মরক্কোর মারাকাশে চলমান জলবায়ু সম্মেলন কপ-টুয়েন্টি-টু এর প্রধান সমন্বয়কারী আজিজ মেকুয়ার।
ওবামার প্রেসিডেন্সির মেয়াদ একেবারে শেষ পর্যায়ে হলেও প্যারিস জলবায়ু চুক্তি ও ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের জন্য বর্তমান প্রেসিডেন্ট ওবামা পরবর্তী সরকারকে প্রয়োজনীয় বিষয়ে অবহিত করবেন বলে বুধবার জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। এক্ষেত্রে ওবামা, পরবর্তী প্রশাসনের কাছে লবিং করবেন না বলেও জানান মুখপাত্র জশ আর্নেস্ট।