জেলা পরিষদ নির্বাচনকে অর্থহীন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। এই নির্বাচনে তার দল অংশ নেবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রোববার রাজধানীর গুলশানে একটি কনভেনশন সেন্টারে জাতীয় পার্টির এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। এরশাদ বলেন, ‘জেলা পরিষদ নির্বাচন করব না। কারণ এই নির্বাচন অর্থহীন।’
বিকল্প ধারা বাংলাদেশের সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট শহিদুর রহমানের জাতীয় পার্টিতে যোগদান উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১৪৫ জন লোক মারা গেছে। আমরা হত্যা, হানাহানি ও অস্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না।’
প্রসঙ্গত, ১৯৮৮ সালে এরশাদের সরকার প্রণীত স্থানীয় সরকার (জেলা পরিষদ) আইনে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে সরকার কর্তৃক নিয়োগ দেওয়ার বিধান ছিল। পরে আইনটি অকার্যকর হয়ে পড়ে।
১৯৮৯ সালে তিন পার্বত্য জেলায় একবারই সরাসরি নির্বাচন হয়েছিল। আর কোনো জেলা পরিষদ নির্বাচন হয়নি। ২০০০ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচিত জেলা পরিষদ গঠনের জন্য নতুন আইন করে।
পাঁচ বছর মেয়াদি জেলা পরিষদগুলোতে বর্তমানে অনির্বাচিত প্রশাসক দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১১ সালের ১৫ ডিসেম্বর ৬১ জেলায় আওয়ামী লীগের জেলা পর্যায়ের নেতাদের প্রশাসক নিয়োগ দেয় সরকার।
চলতি বছরের ৫ সেপ্টেম্বর জারি হওয়া জেলা পরিষদ সংশোধন অধ্যাদেশের আওতায় স্থানীয় সরকারের এ প্রতিষ্ঠানে নির্দলীয় নির্বাচন হচ্ছে। পরে জেলা পরিষদ (সংশোধন) বিল, ২০১৬’অনুযায়ী এবার থেকে স্থানীয় সরকারে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ভোটে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য নির্বাচিত হবেন।
আগামী ২৮ ডিসেম্বর জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের কথা রয়েছে। এ নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে বিএনপি।