বিশেষ পদ্ধতিতে মরদেহ সংরক্ষণ। আশা, তাতে হবে প্রাণের সঞ্চার। এমন কুসংস্কারেই ঝুঁকেছেন, বিভিন্ন দেশের কিছু মানুষ। আদালতের অনুমোদন নিয়ে লন্ডনের এক কিশোরীর মরদেহ সংরক্ষণের পর, এই মানুষদের সংখ্যা বেড়েছে। এ জন্য ৩৭ হাজার ডলার বা ২৯ লাখ টাকা খরচেও আপত্তি নেই তাদের।
প্রাচীন মিশরে দেশটির শাসক ফারওরা মারা গেলে, তাদের মরদেহ মমি করে সংরক্ষণ করা হতো। আধুনিক বিশ্বেও অনেকটা সেরকম সুযোগ এনে দিয়েছে, ‘ক্রায়োনিক্স’ পদ্ধতি। যাতে নাইট্রোজেনের ব্যবহারে মরদেহকে হিমায়িত কোরে সংরক্ষণ করা হয়। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বিষয়টি ফের আলোচনায় এসেছে, ‘ক্রায়োনিক্স’ পদ্ধতিতে নিজের মরদেহ সংরক্ষণ করতে, লন্ডনের আদালতে এক কিশোরীর আবেদন ঘিরে। গত অক্টোবরে মেয়েটি মারা যাওয়ার পর, সম্প্রতি আদালত তার পক্ষেই রায় দিয়েছেন।
বিশ্বে ক্রায়োনিক্স প্রতিষ্ঠান আছে ৩টি। যার দুটি যুক্তরাষ্ট্রে আর একটি রাশিয়ায়। লন্ডনের ওই কিশোরীর মরদেহ মিশিগানের ক্রায়োনিক্স ইন্সটিটিউটে সংরক্ষণ করা হয়েছে। ১৯৭৬ সালে যাত্রা শুরু করা প্রতিষ্ঠানটিতে এ পর্যন্ত মরদেহ এসেছে, ১৪৫ জনের। তবে, লন্ডনের কিশোরীর মরদেহ সংরক্ষণের খবরে, বেড়ে গেছে আগ্রহীদের সংখ্যা। ইন্সটিটিউট কর্তৃপক্ষ বলছে, সারা বিশ্ব থেকেই ফোন পাচ্ছেন তারা।
মরদেহ হিমায়িত করে সংরক্ষণ করা হলে, ফের বেঁচে ওঠার বিশ্বাস থেকেই এই পদ্ধতির দিকে ঝোঁকেন অনেকে। তবে, বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটি বাস্তব সম্মত নয়।
বিজ্ঞান যাই বলুক, মরদেহ সংরক্ষণে বেঁচে ফেরার বিশ্বাসীদের সংখ্যা বাড়ছে।