ভয়াবহ নির্যাতনের পাশাপাশি আতঙ্ক সৃষ্টির মাধ্যমে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করতে ভিন্ন কৌশল নিয়েছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। এখন একেবারে বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে নির্যাতন শুরু করেছে তারা।
মূলত, সহানুভূতি দেখিয়ে বাংলাদেশ যাতে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়- সেজন্যই নাফ নদী তীরবর্তী তিনটি এলাকায় আগুন দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পুর্বমুরারকুল এলাকার তিনটি রোহিঙ্গা অধ্যুষিত পাড়ায় আগুন ধরিয়ে দেয় দেশটির সরকারি বাহিনী। নিকটবর্তী হওয়ায় রোহিঙ্গাদের বসতভিটা পুড়ে যাওয়ার ধোয়া বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের টেকনাফ থেকেও দেখা গেছে। সে ধোয়া দেখে শিশু সন্তানকে নিয়ে নাফ নদীর তীরবর্তী পাহাড়ে বসে কাঁদছিলেন মো. আইয়ুব নামে এক রোহিঙ্গা। গত কয়েকদিন আগে তিনি পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসলেও সেখানে রয়ে গেছে তার অনেক আত্মীয়-স্বজন। নিজে প্রাণে বাঁচলেও স্বজনদের নিয়ে তার উদ্বেগের শেষ নেই।
বাংলাদেশ সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় রোহিঙ্গা নির্যাতনকে মিয়ানমার সরকারের কৌশল হিসেবে দেখছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। আর স্থানীয় প্রশাসন বলছেন, সহানুভূতি দেখিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার সুযোগ নেই।
এদিকে, মিয়ানমারে নির্যাতন চালানোর ঘটনায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে টেকনাফের রাখাইন পাড়াগুলোতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
রোহিঙ্গা ভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন আরএসও’র হামলায় মিয়ানমারে ১৯ জন সীমান্তরক্ষী পুলিশ নিহত হওয়ার জেরে গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।