গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে রংপুর সুগার মিলের সাহেবগঞ্জ খামার থেকে সাঁওতালদের উচ্ছেদ ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনার পর এক মাস পেরুলেও জমির অধিকার নিয়ে সাঁওতালদের সাথে সুগার মিলের দ্বন্দ্বের অবসান হয়নি। ফলে এখনো অজানা আতংকে খোলা আকাশের নিচে দিন কাটছে সাঁওতালদের। এ অবস্থায় আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তির তাগিদ দিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা।
বাপ-দাদার সম্পত্তি দাবি করে রংপুর সুগার মিলের বাগদা খামারে বসতি গড়ে তোলা সাঁওতালদের ঝুপড়ি ঘরগুলো জ্বালিয়ে দেয়ার পর এখন পোড়া মাটিতে নতুন ফসল ফলানোর কাজ শুরু করেছে রংপুর সুগার মিল কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে শতাধিক একর জমিতে আখের বীজ লাগানো শেষ হয়েছে। মিল কর্তৃপক্ষ বলছে, আখ লাগানোর কাজে শ্রমিক হিসেবে যোগ দেয়ার জন্য সাঁওতালদের আহবান করা হলে তারা কোন সাড়া দেয়নি।
অন্যদিকে উচ্ছেদ হওয়ার পর গোবিন্দগঞ্জের মাদারপুর ও জয়পুর গ্রামে অবস্থান নেয়া সাওতালরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। কেউ কাপড়ের তাবু গেড়ে আবার কেউ স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে ত্রিপলের ছাউনির নীচে আশ্রয় নিয়েছেন। সরকার ও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে দেয়া ত্রাণের ওপর নির্ভর করে চলছে তাদের জীবন-জীবিকা।
এ অবস্থায় বিশিষ্টজনরা বলছেন, এই সঙ্কট মোকাবেলায় সাঁওতালদের সাথে সরকারের আলোচনার কোন বিকল্প নেই।
গত ৬ নভেম্বর সুগার মিলের সাহেবগঞ্জ খামারে গড়ে তোলা বসতিতে আগুন লাগিয়ে উচ্ছেদ করা হয় সাঁওতালদের। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাঁওতালদের সঙ্গে সুগার মিলের শ্রমিক, কর্মচারী ও পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুই সাঁওতাল নিহত হয় এবং পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়।