শহর অংশে জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া অনেকটাই চূড়ান্ত। কাজ চলছে আনোয়ারা অংশের। এমন অবস্থাতেই ডিসেম্বরে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে, দেশের প্রথম টানেলের নির্মাণকাজ শুরুর কথা। তবে চলতি মাসে তা আর হচ্ছে না। কারণ ঋণের টাকা ছাড় সংক্রান্ত প্রক্রিয়া এখনো শেষ হয়নি। ফলে আগামী জানুয়ারির শেষ নাগাদ কাজ শুরুর কথা জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক।
আ এই টানেলকে ঘিরে দেশের অর্থনীতি আর বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মত, ব্যবসায়ী আর ব্যাংকারদের।
কর্ণফুলী নদীতে দেশের প্রথম টানেল নির্মাণে ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করা হয় গেল অক্টোবরে, চীনা রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশ সফরকালে। আর মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু কথা ছিল ডিসেম্বরে।
তবে ঋণ সংক্রান্ত জটিলতা না কাটায় এই কাজ শুরু হয়নি। কেননা, এই প্রকল্পে মোট খরচ সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ২ শতাংশ সুদে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ সহায়তা দেবে চীন। সর্বোচ্চ ১৫ বছরের মধ্যে যা পরিশোধ করতে হবে। প্রকল্প পরিচালক জানান, ইতোমধ্যে ঋণের শর্ত পূরণ করেছে সরকার। এখন অপেক্ষা, চায়না এক্সিম ব্যাংকের ছাড়পত্রের।
টানেল নির্মাণকে ঘিরে অমিত সম্ভাবনার দুয়ার খোলার আশায় বাণিজ্য আর অর্থনৈতিক খাত সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, এই বিশাল কর্মযজ্ঞ ঘিরে নানা খাতে প্রবাহ বাড়বে বিনিয়োগের। চাঙা হবে ব্যাংকিং আর অভ্যন্তরীণ শিল্প খাত।
চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা থেকে আনোয়ারা পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেলটির নদীর অংশ ১১শ মিটার। দুই পাশে সংযোগ সড়কসহ সব নির্মাণকাজ শেষ হবে ২০২০ সালের মধ্যে-এমন আশা সরকারের।