চিত্রনায়ক সাইমন কারাগারের ভেতর থেকে চিৎকার করে বলছেন, ‘জান্নাত যেও না, আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচব না। আমি তোমার আসলাম জান্নাত’। এদিকে মাহি কোনো কথায় কান না দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে সাইমনের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে যাচ্ছেন। এমনই সময় পাশ থেকে পরিচালকের আওয়াজ ‘কাট’। এটা গত বৃহস্পতিবার দুপুরে এফডিসিতে ‘জান্নাত’ ছবির দৃশ্যধারণের একটি চিত্র। মানিকগঞ্জে এ ছবির প্রথম ভাগের কাজ শেষ হওয়ার পর ছবির পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিক এফডিসিতে ছবির বাকি কাজ শুরু করেন। তিনি বলেন, এ ছবির বেশিরভাগ কাজ শেষ হয়েছে। মাহির আর কিছুদিনের শুটিং হলেই কাজ শেষ হয়ে যাবে ছবির। এটি নিয়ে আমি আশাবাদী। মাহি বলেন, জান্নাতের কাহিনীটা খুবই স্পর্শকাতর। আমি আজ এফডিসিতে কাজ শেষ করে আগামীকাল মানিকগঞ্জে যাব। সেখানে ছবির বাকি কাজ করব। ছবির নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছি আমি। অনেকদিন পর শুটিংয়ের উদ্দেশ্যে এফডিসিতে এলাম। সবশেষ কোনো ছবির কাজ করেছি, মনে নেই। আমার বিশ্বাস, এ ছবিটি দর্শক পছন্দ করবে। ছবিতে মাজারের খাদেমের মেয়ের ভূমিকায় থাকছেন মাহি। পোশাক-পরিচ্ছদ, চলাফেরায় তেমন পরিবর্তন এনেছেন তিনি। লম্বা চুলে বেণি করা, তার ওপর ওড়না ভিন্ন লুকে দর্শক দেখতে পাবেন মাহিকে। এদিকে সাইমন বলেন, ছবিতে আমার লুকটাই আলাদা। আমি মাজারের খাদেমের নতুন মুরিদের চরিত্রে অভিনয় করছি। যার পৃথিবীতে কেউ নেই। মুখভর্তি দাড়ি ও আমার আচার-আচরণে খুশি হন খাদেম (আলীরাজ)। এ ছবিতে ভিন্ন দুই চরিত্রে দর্শক আমাকে দেখতে পাবেন। শিগগিরই বাকি কাজ শেষ করে ছবিটি সেন্সরে জমা দিতে চান পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিক।