স্বদেশনিউজ২৪,রাফিঃ
চারদলীয় জোট সরকারের আমলের সুবিধাভোগী অনেকেই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে এখন রয়েছেন। অন্যদিকে ওই সরকারের আমলে মেধাক্রমে প্রথমদিকে থেকেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ও একসময় ছাত্রলীগ করেছেন এ বিবেচনায় যারা বার বার পদোন্নতি বঞ্চিত হয়েছেন। পদোন্নতি পাওয়া একাধিক কর্মকর্তারা এমন অভিযোগ করেছেন।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায়, রেল সচিব ফিরোজ সালাহ উদ্দীন ১৯৮২ বিশেষ ব্যাচের কর্মকর্তা। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে প্রায় ৪ বছর নরসিংদীর জেলা প্রশাসক ছিলেন। ওই জেলার প্রয়াত আবদুল মান্নান ভূঁইয়া ছিলেন তখন বিএনপির মহাসচিব ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।
অভিযোগ রয়েছে, তার আশীর্বাদে তখন জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় এই কর্মকর্তাকে। সে সময় তার নির্দেশেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের একের পর এক দেওয়া হয় জেল-জরিমানার দণ্ড। বর্তমান সরকারের আমলে ওই কর্মকর্তা সচিব হয়েছেন। সচিব হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে।
চারদলীয় জোট সরকারের আমলে নৌপরিবহনমন্ত্রী প্রয়াত কর্নেল আকবরের একান্ত সচিব এস এম হারুনুর রশিদ এখন বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক। বর্তমান সরকারের আমলে পদোন্নতি পেয়েছেন দুই দফা। এখন তিনি সচিব হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। শুধু এই কর্মকর্তারাই নন, চারদলীয় জোট সরকারের আমলের সুবিধাভোগী অনেকেই এখন রয়েছেন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে।
অন্যদিকে ওই সরকারের আমলে মেধাক্রমে প্রথমদিকে থেকেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ও একসময় ছাত্রলীগ করেছেন এ বিবেচনায় যারা বার বার পদোন্নতি বঞ্চিত হয়েছেন, এখনও তারা বঞ্চনার শিকার। কেউ কেউ পদোন্নতি পেলেও তাদের দেওয়া হয়েছে কম গুরুত্বপূর্ণ পদে। অথচ ওইসব কর্মকর্তা মেধাক্রমে প্রথমদিকে রয়েছেন।
একাধিক কর্মকর্তার অভিযোগ, প্রশাসনে দলীয়করণ কমলেও জেঁকে বসেছে অনিয়ম আর স্বজনপ্রীতি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাদা দলের নেতা ও ওই আমলের এক প্রোভিসির ভাই এখন সদ্য ভাগ হওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের সচিব।
জানা গেছে, ওই সচিবের আরেক ভাই লন্ডনে তারেক রহমানের স্থানীয় অভিভাবক। চারদলীয় জোটের আমলেও তিনি ছিলেন ভালো পদে। বিদেশেও চাকরি করেছেন তিনি।
অথচ ওই মন্ত্রণালয়েই কম গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের সচিব পদে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী সাবেক এক এপিএসের ভাই, যাকে চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ১৮ বার বদলি করে কোনো পদেই যোগদান করতে দেওয়া হয়নি। তবে ওই কর্মকর্তার মন্ত্রণালয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে যিনি সচিব হিসেবে রয়েছেন তার চেয়ে মেধাক্রমে অনেক ওপরে রয়েছেন তিনি। এরপরও তাকে দেওয়া হয়েছে কম গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের দায়িত্ব।