মেসির নিষেধাজ্ঞা বড় জোর দুই ম্যাচে নেমে আসবে বলে মনে করছিল খোদ আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশন। তবে আন্তর্জাতিক ফুটবলে লিওনেল মেসির পুরো নিষেধাজ্ঞাই উঠে গেল। কারণ কী? মেসির আপিল শেষে বিশ্ব ফুটবল সংস্থা-ফিফার রায়, মেসির নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার মতো সাক্ষ্যপ্রমাণ নেই তাদের কাছে। বৃহস্পতিবার বিশ্ব ফুটবল নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ফিফা বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে চিলির বিপক্ষের ম্যাচে সহকারী রেফারির মা-বাবা তুলে গালি দেন বলে অভিযোগ আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার লিওনেল মেসির বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে ম্যাচ রেফারি আনুষ্ঠানিক কোনো অভিযোগ তোলেননি। কিন্তু ম্যাচ শেষে ভিডিও দেখে মেসির গালির বিষয়টি ধরতে পারে ফিফা। এতে তাকে চার আন্তর্জাতিক ম্যাচে নিষেধাজ্ঞা দেয়। একই সঙ্গে ৭,৮০০ পাউন্ড জরিমানা করে। ফিফার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন করে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। এই বিষয়ে শুক্রবার মেসির শুনানি ছিল। সুইজারল্যান্ডের জুরিখের শুনানিতে হাজির ছিলেন না মেসি। তবে ছিলেন তার আইনজীবী হুয়ান ক্রেসপে। সেখানে তার সঙ্গে কথা বলেন ফিফার আপিল বিভাগের কর্মকর্তারা। তারপর মেসির ওপর থেকে সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ফিফা। এমনকি তার জরিমানাও তুলে নেয়া হয়েছে। মেসির অপরাধ নিয়ে তাদের হাতে যে প্রমাণ আছে তা যথেষ্ঠ নয় বলে এই সিদ্ধান্ত তুলে নিয়েছে ফিফা। বিশ্ব ফুটবল নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাটি জানায়, ‘যে প্রমাণ হাতে আছে তা মেসির শাস্তি বহাল থাকার জন্য যথেষ্ঠ নয়। আপিল কমিটি সবসময় ম্যাচ রেফারিদের সম্মানের দিকে নজর দেয়। তাদের অপমান হয়, খেলোয়াড়দের এমন কোনো আচরণ ফিফা সহজভাবে নেয় না।’
মেসির নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়া হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে আর্জেন্টিনার সমর্থকরা। রাশিয়া বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে এমনিতেই কঠিন অবস্থার মধ্যে রয়েছে আর্জেন্টিনা। ১৪ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলে পঞ্চম স্থানে আছে তার। এই অঞ্চলে ১০ দলের বাছাইপর্ব শেষে শীর্ষ চার দল সরাসরি বিশ্বকাপের টিকিট পাবে। পঞ্চম দলের সামনে প্লে অফ খেলে মূলপর্বের টিকিট কাটার সুযোগ থাকবে। এতে আর্জেন্টিনা এখন রয়েছে বড় চাপে। নিষেধাজ্ঞার কারণে বলিভিয়ার বিপক্ষে খেলতে পারেননি মেসি। আর্জেন্টিনার সামনে বাকি চার ম্যাচে প্রতিপক্ষ উরুগুয়ে, ভেনেজুয়েলা, পেরু ও ইকুয়েডর।