স্টুডিওর চার দেয়াল থেকে টিভি অনুষ্ঠানকে বের করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে ‘ইত্যাদি’ দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য তুলে ধরার পাশাপাশি প্রায় দুই যুগ ধরে বিদেশি নাগরিকদের দিয়ে আমাদের লোকজ সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে নিয়মিতভাবে তুলে ধরছে। সেই ধারাবাহিকতায় যথারীতি এবারো বিদেশিদের নিয়ে ঈদের ‘ইত্যাদি’তে রয়েছে ব্যাপক আয়োজন। এবারের পর্বে অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন দেশের ৬০ জন বিদেশি নাগরিক। এদের মধ্যে নৃত্যে ২৫ জন এবং বাকিরা অভিনয়ে। এবারের বিষয় ‘যৌতুক’। এবারের বিদেশি পর্বে একটি চমৎকার স্লোগান উঠে এসেছে, তা হচ্ছে- ‘যৌতুক নেয়া মহাপাপ-যৌতুক সমাজের অভিশাপ’। ‘ইত্যাদি’তে অংশ নেয়া প্রসঙ্গে নেদারল্যান্ডস্ের নাগরিক জেনিফার বলেন, এর শুটিংয়ে এসে মনে হয় পিকনিকে এসেছি। ভালো লাগে হানিফ সংকেতের সমাজ সচেতনতামূলক কাজ। ডাচ্ নাগরিক নেইলস বলেন, আমি গত বছর করেছি, এ বছরও করলাম। খুব ভালো লেগেছে। ব্রিটিশ নাগরিক ক্রেইগ বলেন, ‘ইত্যাদি’ টিম খুবই ভালো, অর্গানাইজড। আমি
‘ইত্যাদি’কে ভালোবাসি। আমেরিকান নাগরিক রাসেল বলেন, আমরা ‘ইত্যাদি’ পরিবারের সদস্য। শুটিংয়ের পুরো দিনটাই আনন্দে কেটেছে। অ্যাডাম বলেন, অনেক গরম তারপরও হানিফ সংকেতের ‘ইত্যাদি’র কাজ করতে কোনো ক্লান্তি আসে না। হানিফ সংকেতকে ধন্যবাদ। ডাচ্ নাগরিক পাওলা বলেন, ‘ইত্যাদি’ আমার কাছে সবচেয়ে আনন্দঘন মুহূর্ত ও অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা। বিদেশিদের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে অভিজ্ঞতার কথা জানতে চাইলে ‘ইত্যাদি’ নির্মাতা হানিফ সংকেত বলেন, এরা অপেশাদার। তবে অনেক পেশাদার শিল্পীরও এদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। বিশেষ করে তাদের সময়জ্ঞান, নিষ্ঠা, একাগ্রতা, কষ্ট সহিষ্ণুতা, আন্তরিকতা দেখে আমি মুগ্ধ। যেহেতু দর্শকরা এই পর্বটি অনেক পছন্দ করেন, তাই আমরাও অনেক যত্ন নিয়ে এটি করতে চেষ্টা করি। আশা করি প্রতিবারের মতো এবারও এই পর্বটি দর্শকদের অনেক আনন্দ দেবে। ‘ইত্যাদি’ প্রচার হবে ঈদের পরদিন রাত ১০টার ইংরেজি সংবাদের পর বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে। অনুষ্ঠানটি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন, স্পন্সর করেছে কেয়া কস্মেটিকস্ লিমিটেড।