অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশের আমার একজনই বন্ধু আছে। তিনি সজীব ওয়াজেদ জয়। আমার ছাত্রজীবনের বন্ধু। যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার সুবাদে জয়ের সাথে আমার পরিচয়।
আমি চিনতাম ওকে শুধুই ‘জয়’ হিসেবে, আর জয় আমাকে চিনতো ‘জিমি’ হিসেবে। অথচ
না আমি জানতাম ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ছেলে। আর ও না জানতো আমি ভুটানের রাজার ছেলে।
পরবর্তীতে অনেক পরে আমরা পরস্পরের পারিবারিক পরিচয় জানতে পারি।
বন্ধুর অভিনন্দন বার্তার জবাবে বাংলাদেশ থেকে আসা মন্ত্রীর কাছে জয় সম্পর্কে এভাবেই স্মৃতিচারণ করলেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক।
চার প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সহজ যাতায়াত ও পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা পাকাপাকি করতে ভুটানেতে এসে রাজার সাথে সৌজন্যে স্বাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সেখানেই ভুটানের রাজাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের শুভেচ্ছাবার্তা পৌঁছে দেবার জবাবে জয় সম্পর্কে এভাবেই স্মৃতিচারণ করেন ভুটানের রাজা।
‘মাই অনলি ওয়ান ফ্রেন্ড ইন বাংলাদেশ, সজীব ওয়াজেদ জয়’- সগর্বে বললেন রাজা।
সকালে সচিব এম এ এন সিদ্দিককে সঙ্গে নিয়ে ভুটান রাজার কার্যালয় ‘তাশিছোজং’ সংলগ্ন রাজপ্রাসাদে সৌজন্য স্বাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সেখানে রাজার পক্ষে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয় প্রিয় বন্ধু জয়ের দেশের মন্ত্রীকে।
শত বছরেরও বেশি সময় ধরে রাজত্ব করা রাজতন্ত্র ভুটানের রাজবংশের পঞ্চম রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক। রাজা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রায় নয় বছর। ২০০৬ সালে বাবা জিগমে সিংহে ওয়াংচুক সরে দাঁড়ালে ভুটানের রাজার দায়িত্ব গ্রহণ করেন জিগমে খেসার ওয়াংচুক।
২০১৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি রানি জেতসুন পেমাকে নিয়ে পাঁচ দিনের ব্যক্তিগত সফরে বাংলাদেশ সফরে গিয়েছিলেন রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক। বন্ধুর মায়ের উষ্ণ আথিতেয়তা, স্মৃতিও তুলে ধরেন ওবায়দুল কাদেরকে।
বলেন, আমি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নয়, আগামীতে ব্যক্তিগত পর্যায়েই সফর করতে চাই। এতে নিরাপত্তার ঘেরাটপে বন্দি হতে হয় না। ইচ্ছে মতো ঘোরাফেরা করা যায়।
এই সুবাদে বন্ধুর মা, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা জানাতেও ভোলেন নি ভুটানের রাজা।
‘শেখ হাসিনা মাদার ফিগার’, বেশ সম্ভ্রমের সঙ্গে কথাগুলো উচ্চারণ করেন ভুটানের পঞ্চম রাজা।