ভেঙ্গে পরেছে লালমনিরহাট জেলার ৫টি উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য সেবা ক্লিনিক আছে লোক নেই লোক আছে ঔষধ নেই স্বাস্থ্য সেবার যে মহান উদ্যোগ প্রধান মন্ত্রীর তা আজ ভেস্তে বসেছে এই কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ থাকার কারনে |গোপনে চলে ঔষধ বিক্রির মহড়া |
সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায় জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্য কর্মীর অবহেলায় স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকাবাসী | কাকিনা ইউনিয়নের সম্ভুসাগর গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিক টি প্রায়ই বন্ধ থাকে সপ্তাহে। এই কমিউনিটি ক্লিনিকের গায়ে লেখা আছে যে সকাল ৯ টা থেকে বেলা ১ টা পর্যন্ত রোগী দেখা ও অসুধ দেওয়া হয়। কিন্তু দেওয়ালের কোথাও কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য কর্মীর মোবাইল নাম্বর লেখা নেই। গতকাল যখন সকাল ১১ ঘটিকায় এই ক্লিনিক বন্ধ পাওয়া যায় তখন আশে পাঁশের লোক জনের সাথে কথা বলে জানা গেল এক স্থাস্থ্য কর্মী এই কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্বে থাকলে সে প্রায়ই আশে না যদিও আসে তাহলে ১১ টার দিকে এসে আবার ১২ টার দিকে চলে যায়। যার কারনে রোগীরা এসে এসে ফিরে যায়।
এই প্রসঙ্গে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আশিফ ইকবল জানান মাসিক মিটিং ছাড়া বেলা ৯ থেকে ৩ টা পর্যন্ত কমিউনিটি ক্লিনিক খোলা থাকার কথা কি জন্য বন্ধ আছে তাহা আমার জানা নেই।কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীদের ১ টা পর্যন্ত রোগী দেখে এবং অসুধ বিতারন করে বেশ কিছু কাজ থাকে ২ ঘণ্টায় সেটা করতে হয়। আমি প্রকৃত কারন জেনে যথাযথ ব্যবস্থা নেব। কিন্তু জেলার প্রায় সকল উপজেলার জনসাধারণের অভিমত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সহকারীর সঙ্গে ইউনিয়নে ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সহযোগিতা ও সমন্বয় খুবই দুর্বল। ক্লিনিকগুলো পরিচালনার ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ বা ভূমিকা তেমন চোখে পড়ে না।
লালমনিরহাট সিভিল সার্জন অফিসের সূত্রমতে, জেলায় চালুকৃত কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে এ বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। ক্লিনিকগুলো পরিচালনার ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের অংশ গ্রহণ বা ভূমিকা চোখে পড়ে না। কমিউনিটি ক্লিনিক তৈরি করেছে সরকার। অনেক উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামে ক্লিনিকে যাওয়ার কোনো রাস্তা নেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা লঙ্ঘন করে নিচু জমিতে ও যাতায়াতের অযোগ্য জায়গায় বহু ক্লিনিক তৈরি হয়েছে। এ কারণে এগুলো সহজেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো কার্যকর করার জন্য মাঠপর্যায়ে স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার পরিকল্পনা সহকারীর কাজের সমন্বয়ের কথা বলা হলেও ওই তিন উপজেলায় তা দেখা যায়নি।