ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) সঙ্গে সেদেশের ক্রিকেটারদের চলছে কঠিন টানাপড়েন। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স এসোসিয়েশন (এসসিএ) কড়া ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন চুক্তি নিয়ে তাদের দাবি না মানলে বাংলাদেশ ও ভারত সফরে যাবে না ক্রিকেটাররা। অন্যদিকে নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় অজিদের ক্রিকেট বোর্ডও। তাই ফের বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের সফর অনিশ্চয়তায় পড়েছে। যদিও এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল বাংলাদেশে আসার প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছে। এই বিষয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন আগেই বলেছেন, এখনো অস্ট্রেলিয়ার আসা না আসা নিয়ে ভাবার কিছু হয়নি।
তিনি আশা করছেন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল সফরে আসবেই। শেষ পর্যন্ত যদি না আসে কি করণীয় থাকবে বিসিবি’র? এই বিষয়ে গতকাল বিসিবি’র মিডিয়া বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনূসও স্পষ্ট জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার নিজস্ব সমস্যা নিয়ে আগ বাড়িয়ে বলার কিছুই নেই। তিনি বলেন, ‘এটি অস্ট্রেলিয়ার নিজস্ব সমস্যা। এ বিষয়ে আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। আমরা কেন উদ্বিগ্ন হব? অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ডের সমস্যা তারাই সমাধান করবে। আমাদের আগ বাড়িয়ে উদ্বেগ দেখিয়ে লাভ নেই।’
গত ২রা জুলাই ক্রিকেটারদের সভায় পাস হওয়া ১৪ প্রস্তাবের মধ্যে ৬ নম্বরটি বাংলাদেশ ও ভারত সফর প্রসঙ্গে। এই দুই সফরে যাওয়ার ইচ্ছা ক্রিকেটারদের প্রবল ও যে কারণে তারা ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে আহ্বান করছে ন্যায়সঙ্গতভাবে চুক্তি নবায়নের।
যেহেতু ক্রিকেটাররা এখন চাকরিবিহীন এবং কোনো চুক্তি নেই, এই মুহূর্তে পেশাদার ক্রিকেটারদের কেউ সফর করতে বাধ্য বা প্রস্তুত নয়। মানে পরিষ্কার, নতুন চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত খেলবে না অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা। তবে বিসিবি হাতে আরও দেড় মাস সময় থাকতে এখনই বেশি চিন্তা করতে রাজি নয়। জালাল ইউনূস বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ সফরে আসবে আগামী মাসের মাঝামাঝি। এখনো দেড় মাস বাকি যে কারণে এই লম্বা সময়ে অনেক কিছু হতে পারে। সিরিজের এখনো অনেক সময় বাকি যে কারণে ওসব নিয়ে এখনই কিছু ভাবতে চাই না।’
২০১১ সালে বাংলাদেশ সফরে ৩ ওয়ানডে ও দুই টেস্ট খেলার কথা ছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু সেবার তারা বাংলাদেশ সফরে এসে সময় স্বল্পতা দেখিয়ে শুধু ওয়ানডে সিরিজ খেলে চলে যায়। এরপর সিরিজের পাওনা দু’টি টেস্ট খেলতে তারা রাজি হয় ২০১৫ সালে। সেবার বাংলাদেশে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা তুলে নিরাপত্তার অযুহাতে শেষ পর্যন্ত সফর বাতিল করে। অবশেষে সাত বছর আগের পাওনা টেস্ট দু’টি খেলতে রাজি হয় এ বছর আগস্ট-সেপ্টেম্বরে। কিন্তু এখন নিজেদের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে ফের বাংলাদশ সফরে আসা রয়েছে অনিশ্চয়তার মধ্যে। অস্ট্রেলিয়া ২০০৬ সালে বাংলাদেশে শেষ টেস্ট সিরিজ খেলে যায়।