ইসরাইলে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঐতিহাসিক তিন দিনের সফরে তার ফিলিস্তিন সফর না করা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার জেরুজালেমে মোদিকে স্বাগত জানান, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি ইসরাইল সফরকারী প্রথম কোনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। নেতানিয়াহু ছাড়াও বুধবার ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী রিউভেন রিভলিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মোদি। তবে এই সফরে তিনি ফিলিস্তিনে যাচ্ছেন না। আর এতে নাখোশ ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।
ফিলিস্তিনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাসির জারাদাত বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম মোদি ইসরাইল ও ফিলিস্তিন- উভয় দেশেই সফর করবেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘উভয়পক্ষের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন এবং শান্তির বার্তা পৌঁছাতে উভয় দেশেই সফর করা উচিত।’ উল্লেখ্য, বিশ্বনেতারা ইসরাইল সফরে এলে দখলকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। কিন্তু মোদি তার ব্যতিক্রম ঘটালেন। এর আগে ভারতের প্রেসিডেন্ট প্রনব মুখার্জি ইসরাইল সফরে যাওয়ার পর ফিলিস্তিনেও গিয়েছিলেন।
ঐতিহাসিকভাবে ফিলিস্তিনি আন্দোলনের প্রতি সহানুভূতি ছিল ভারতের। ইসরাইলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক খুলতে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করে ভারত। শীতল যুদ্ধ চলাকালে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন ন্যামের শীর্ষস্থানীয় সদস্য ছিল দেশটি। তখন ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংঘাতে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছিল ভারতের তৎকালীন সরকার। ১৯৯২ সালের আগে ভারতের নাগরিকরা ইসরাইলে প্রবেশও করতে পারতেন না।
কিন্তু সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে দু’দেশের সম্পর্কে উষ্ণতা আসে। বিশেষ করে, প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতার দিক থেকে।
২০১৪ সালে মোদির নেতৃত্বে ভারতের রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার পর কট্টর হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি সরকার ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে আরো নজর দিয়েছে। মোদি ব্যক্তিগতভাবেও এ ব্যাপারে আগ্রহী। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী ও তিনি একে অপরকে ‘বন্ধু’ বলে সম্বোধন করেন।