দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদারে ঢাকা ও কলম্বোর মধ্যে ১৪টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। ঢাকা সফররত শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিক বৈঠক শেষে চুক্তি ও সমঝোতাগুলো সই হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত শীর্ষ বৈঠক শেষে দুই নেতাই চুক্তি সইয়ের আনুষ্ঠানিকতা প্রত্যক্ষ করেন। ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি, কৃষি, উচ্চ শিক্ষা, জাহাজ শিল্প, তথ্যপ্রযুক্তি, কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের ভিসামুক্ত চলাচল এবং গণমাধ্যম বিষয়ক প্রস্তাবিত চুক্তি ও সমঝোতাগুলো সই হলেও শেষ সময়ে এসে বাদ পড়েছে বহুল আলোচিত উপকূলীয় জাহাজ চলাচল চুক্তিটি। তবে দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনায় থাকা দ্বিপক্ষীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বা এফটিএ সইয়ে নাটকীয় অগ্রগতি হয়েছে। চলতি বছরের মধ্যেই এফটিএ সইয়ে শীর্ষ নেতৃত্ব সম্মত হয়। দুই নেতার আনুষ্ঠানিক বৈঠক সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক জানান, ‘প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করতে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন’। সচিব বলেন, যত দ্রুত সম্ভব মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করতে উভয় দেশ আলোচনা ও পর্যবেক্ষণ সম্পন্ন করার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা হবে কোনো দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রথম এফটিএ চুক্তি। এরআগে উভয় নেতার উপস্থিতিতে ভ্রাতৃপ্রতিম দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে অর্থনীতি, কৃষি, জাহাজ শিল্প, উচ্চ শিক্ষা, তথ্য, প্রযুক্তি এবং মিডিয়া বিষয়ে একটি চুক্তি ও ১৩টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। চুক্তি সইয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে পররাষ্ট্র সচিব ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বিভিন্ন বিষয়ে অবহিত করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে কারো মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নেই। কলম্বোর সঙ্গে এফটিএ হলে ঢাকা প্রথম এমন চুক্তির অভিজ্ঞতা লাভ করবে। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হলে ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর হবে। এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, “এটা একটা অসম্ভব ব্রেক থ্রু। কারণ বাংলাদেশের সঙ্গে কারও এফটিএ নেই। যদি ২০১৭তে এফটিএ হয়, তাহলে এটাই হবে বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো দেশের প্রথম এফটিএ। “আমার মনে হয় এটা একটা বড় পলিটিক্যাল প্রোগ্রেস টুয়ার্ডস ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট বিটুইন দ্যা টু কান্ট্রিজ।” বাংলাদেশের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার বাণিজ্য বছরে আট কোটি ডলারের মতো। এ চুক্তি হলে দু’দেশের বাণিজ্য আরো বাড়বে বলে মনে করেন পররাষ্ট্র সচিব। তিনি বলেন, “এটা বাড়ানোর জন্যই আমরা ২০১৩ থেকে আলোচনা করে আসছি। শহীদুল হক বলেন, দুই দেশের বাণিজ্যে এখন যেসব শুল্ক ও অশুল্ক বাধা রয়েছে, তা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে অপসারণ করা যাবে। তাতে বাংলাদেশের কতটা লাভবান হবে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, “মিউচুয়ালি লাভবান হবে। বাট বাংলাদেশ অনেক লাভবান হবে। সচিব বলেন, বিশ্ব বাণিজ্য এখন এক ধরনের রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অনেক দেশকেই দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ওপর কিছুটা নির্ভরশীল হতে হচ্ছে। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে প্রথমবারের মতো চুক্তি হলে বাংলাদেশে এ বিষয়ে যাচাই-বাছাই ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে দক্ষতা বাড়াতে পারবে বলে মনে করেন তিনি। সচিব বলেন, আরো কয়েকটি দেশের সঙ্গে আমরা এফটিএ আলোচনা করছি। সেইগুলো করতেও এটা সহায়তা করবে। তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের সফরকে কেন্দ্র করে শনিবারের মধ্যে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হবে। ৩৫ প্যারার এই যৌথ বিবৃতি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতাও হয়ে গেছে। এই প্রথম বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার একটি যৌথ বিবৃতি আসছে জানিয়ে তিনি বলেন, এর মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক একটি কাঠামো (ফ্রেমওয়ার্ক) পাচ্ছে। আগে যেটা ছিল তাতে এই সম্পর্কটা ভাসা ভাসা থাকতো। হয়তো কোনো সময় কিছু একটা ইমপ্লিমেন্টেশন হয়েছে, অনেকদিন পর আমরা ভুলে যেতাম কি হয়েছে। এই ১৪টা ইন্সট্রুমেন্ট ও জয়েন্ট স্টেইটমেন্টের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্কের একটা স্ট্রাকচার হলো। এই যৌথ ঘোষণায় দুই দেশের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো জোরদার করার অঙ্গীকারের পাশাপাশি রাজনৈতিক সম্পর্কের রূপরেখাও আরো স্পষ্ট হবে বলে মনে করেন পররাষ্ট্র সচিব। তিনি জানান, বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্রের সাফল্য বিশেষ করে বীজ উৎপাদনে বিপ্লব সাধনের বিষয়ে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট এর নেপথ্য কথা জানার আগ্রহ ব্যক্ত করেন। সফর বিষয়ে শ্রীলঙ্কান প্রেসিডেন্টের বক্তব্য তুলে ধরে শহীদুল হক বলেন, প্রেসিডেন্ট এ সফরকে ঐতিহাসিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এই সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্কের একটা ‘নবযাত্রা’ শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। উল্লেখ্য, লঙ্কানদের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি-সমঝোতার মধ্যে কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের ভিসা অব্যাহতি সম্পর্কিত একটি মাত্র চুক্তি এবং বাকি ১৩টি সমঝোতা সই হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবি করুনানায়েকে ওই চুক্তিতে নিজ নিজ দেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন। সমঝোতা স্মারকগুলোতে শ্রীলঙ্কার পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবি করুনানায়েকে, কৃষি প্রতিমন্ত্রী ওয়াসান্তা আলুউইরা, বন্দর এবং জাহাজ চলাচল বিষয়ক উপমন্ত্রী নিশান্ত মুথুহেট্টিগামা, উচ্চ শিক্ষা এবং মহাসড়ক বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মোহন লাল গ্রিরো, অর্থ এবং গণমাধ্যম বিষয়ক উপমন্ত্রী লাসান্তা আলাইগিয়াওয়ান্না এবং বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার ইয়াসোজা গুণাসেকেরা শ্রীলঙ্কার পক্ষে সই করেন। আর বাংলাদেশের শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, বিডা’র (বিআইডিএ) নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী আমিনুল ইসলাম এবং বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান সই করেন। এর আগে সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছান মাইথ্রিপালা সিরিসেনা। প্রধানমন্ত্রী তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রথমে প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে একান্ত ও পরে আনুষ্ঠানিক বৈঠক হয়। তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বৃহস্পতিবার ঢাকায় আসেন লঙ্কান প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ আমন্ত্রণে প্রেসিডেন্ট হিসেবে এই প্রথম তিনি বাংলাদেশ সফর করছেন। প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ বিমানবন্দরে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। সেখানে প্রেসিডেন্ট সিরিসেনাকে ২১ বার গান স্যালুটের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয়ভাবে বরণ করা হয়। সফরের প্রথম দিনে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং স্মৃতি জাদুঘরও পরিদর্শন করেন প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা। সন্ধ্যায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী তার হোটেল স্যুটে গিয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সফরের দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের সঙ্গে বৈঠক হয় তার। বঙ্গভবনে ওই বৈঠক শেষে তার সম্মানে দেয়া প্রেসিডেন্টের নৈশভোজে অংশ নেন তিনি। সেখানে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যাও উপভোগ করেন। এর আগে বিকালে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ এবং প্রধানমন্ত্রী তনয়া সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিম প্রেসিডেন্ট সিরিসেনার সঙ্গে তার হোটেল স্যুটে গিয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সফরের তৃতীয় দিন আজ সকাল ১০টায় হোটেল রেডিসনে যাবেন প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা। সেখানে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা আয়োজিত অর্থনৈতিক ডায়ালগে বক্তৃতা করবেন। এ দিন দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন খাতে কিছু চুক্তি সইয়ের আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে। দুপুর ১টায় তাকে বহনকারী শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি ঢাকা ছেড়ে যাবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানাবেন।
ঢাকা-কলম্বোর যৌথ উদ্যোগ চান প্রেসিডেন্ট: তথ্যপ্রযুক্তি, পর্যটন, মৎস্য সম্পদ আহরণ, কৃষি ও স্বাস্থ্য খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্ভাবনা যৌথ উদ্যোগে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। গতকাল শুক্রবার বঙ্গভবনে সফররত শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনার সঙ্গে বৈঠকে প্রেসিডেন্ট এ আহ্বান জানান। সন্ধ্যা ৭টায় সিরিসেনা বঙ্গভবনে পৌঁছালে আবদুল হামিদ তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। পরে বঙ্গভবনের ক্রেডেনশিয়াল হলে বৈঠকে বসেন দুই দেশের রাষ্ট্র প্রধান। বৈঠক শেষে প্রেসিডেন্টের প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে প্রেসিডেন্ট বলেছেন, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার এবং এই সম্পর্ক ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের এই সফর মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ- শ্রীলঙ্কা সার্ক-বিমসটেকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থায় একে অপরকে সমর্থন করে যাচ্ছে। বৈঠকে দুই দেশের বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে বলেন, এই দুই দেশ যৌথ উদ্যোগে এসব সম্ভাবনা কাজে লাগালে উভয় দেশই উপকৃত হবে। বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে উদার দেশ হিসেবে উল্লেখ করে শ্রীলঙ্কার বিনিয়োগকারীদের এই সুযোগ কাজে লাগানোর আহ্বান জানান প্রেসিডেন্ট হামিদ। সিরামিক পণ্য, প্লাস্টিক পণ্য, কৃষিপণ্য, জুতা ও ওষুধসহ বিভিন্ন পণ্য শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশ থেকে নিতে পারে বলে জানিয়ে দেন তিনি। প্রেস সচিব বলেন, প্রেসিডেন্ট বলেছেন, দুই দেশ তথ্যপ্রযুক্তি, পর্যটন মৎস্য সম্পদ, কৃষি, স্বাস্থ্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন খাতে বাণিজ্য-বিনিয়োগের সম্ভাবনা যৌথভাবে খুঁজতে পারে। শ্রীলঙ্কার জাতিগত পুনর্গঠন দেশটির উন্নয়ন আরো ত্বরান্বিত করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আবদুল হামিদ। বৈঠকে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন বলে জানান জয়নাল আবেদীন। সিরিসেনা বলেছেন, তার দেশ সব সময় বাংলাদশকে পরীক্ষিত বন্ধু মনে করে। বাংলাদেশে উন্নয়ন-অগ্রগতির যে ধারা, সেটা ভবিষ্যতে আরো গতিশীল হবে বলে আশা প্রকাশ করেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট। এ সময় পরারাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।