প্রকৃতিতে বেশ কিছু কিছু উদ্ভিদ আছে, যেগুলো স্নায়ুস্বাস্থ্যের জন্য দরকারি। আমাদের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দিতে পারে এই জাদুকরি ভেষজগুলো। এমন ভেষজগুণ সম্পন্ন উদ্ভিদের কিছু কিছু কিন্তু আমাদের দেশেই পাওয়া যায়। আর কিছু মেলে অন্য দেশে।
হলুদ :
হলুদের গুঁড়া অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ। উপরন্তু শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণও আছে হলুদে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, আলঝেইমার প্রতিরোধে হলুদ অত্যন্ত কার্যকর। আলঝেইমার মস্তিষ্কের রোগ। এ রোগে আক্রান্ত রোগীর প্রাথমিক লক্ষণ ভুলে যাওয়া।
তবে একেকজনের ক্ষেত্রে এ রোগের লক্ষণ আলাদা হতে পারে। গবেষণায় আরও জানা যায়, যারা তরকারিতে প্রতিদিন হলুদ খান, তাদের আলঝেইমার হওয়ার শঙ্কা কমে যায় অন্যদের তুলনায় ২৫ শতাংশ।
সেইজ :
সেইজ ধূসর পত্রবিশিষ্ট উদ্ভিদ। উদ্ভিদটি স্মরণশক্তি বাড়াতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। এছাড়া আলঝেইমার প্রতিরোধেও সক্ষম উদ্ভিদটি। মস্তিষ্কের অ্যাসিটাইল কোলাইনের সুরক্ষায়ও কাজ করে।
এই উদ্ভিদটি ডিম, টমেটো সস, ঝলসানো মুরগিতে ভারি উপাদেয়। চাইলে ওষুধ হিসেবে শুকনো সেইজ চায়ের সঙ্গেও খাওয়া যায়।
ওয়াসাবি :
উদ্ভিদটি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় জাপানে, বিশেষ করে পাহাড়ি উপত্যকায়। ওয়াসাবি স্নায়ুকোষ বৃদ্ধিতে অত্যন্ত কার্যকর, বিশেষ করে এটি অ্যাক্সন ও ডেনড্রাইটের মধ্যে সংযোগ দৃঢ় করে। উদ্ভিদটি খাওয়া হয় সাধারণত মাছ, বাদাম, সালাদ আর কাঁকড়ার সঙ্গে।
রসুন :
রসুন রক্তের ঘনত্ব কমায়। ফলে মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়। অল্প পরিমাণে হলেও রক্তের কোলেস্টেরলও কমায় রসুন। রসুনের উপাদানগুলো সুরক্ষা দেয় মস্তিষ্কের নিউরনকে। এ ছাড়া নিউরনের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধেও সক্রিয় ভূমিকা রাখে রসুন।
লেখক: হারবাল গবেষক ও চিকিৎসক
মডার্ন হারবাল গ্রুপ, ঢাকা।