সায়েন্স ফিকশনে অনেক অবাস্তবকে বাস্তবে রূপান্তরিত করা হয়। রোবট যুবতীর সঙ্গে কাহিনীর নায়কের গড়ে ওঠে রোমাঞ্চকর সম্পর্ক। তাদের শারীরিক সম্পর্ক হয়। রোবট আস্তে আস্তে হয়ে ওঠে মানবীয় গুণের অধিকারী। এক সময় তারা স্বাধীনতা চেয়ে বসে। বলা হয়, এমন এক সময় আসবে যখন মানুষ হয়ে যাবে রোবটের অধীনস্ত। রোবট চালাবে বিশ্ব। আবার কেউ কেউ বলতে থাকেন, প্রযুক্তির উৎকর্ষতায়, রোবট তৈরির ফলে এক সময় যুবক-যুবতী শারীরিক আবেদন ভুলে যাবে। তখন সন্তান জন্ম দেবে রোবট। পুরুষ বা নারীর শর্য্যাসঙ্গী হবে রোবট। এসব আলোচনা, কাহিনী অবাস্তব মনে হলেও আসলে সেদিকেই ধাবিত হচ্ছে বিশ্ব। যেভাবে রোবট প্রযুুক্তির ক্রমবিকাশ ঘটছে তাতে অর্ধেম মার্কিনি মনে করেন ২০৬৭ সাল নাগাদ মানুষের বিছানার সঙ্গী হবে রোবট। তার সঙ্গেই হবে তার শারীরিক সম্পর্ক। এ জরিপে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে। ইউগভের চালানো জরিপে যুক্তরাষ্ট্রের যুবক, যুবতীদের কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিলÑ আপনি কি রোবটের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে রাজি হবেন? এর জবাবে তারা বলেছেন, আগামী ৫০ বছরের মধ্যে রোবটের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন হবে অতি সাধারণ একটি বিষয়। আর এমনটা মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাপ্ত বয়স্কদের শতকরা ৪৯ ভাগ। ইউগভের চালানো ওই জরিফে অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্রের ১১৪৬ জন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ। ‘এটা সাধারণ বিষয় হবে’ এবং ‘হ্যাঁ, আমি রাজি’ এই দুটি উত্তরের মধ্যে কিছু ব্যবধান থাকলেও বেশির ভাগ মানুষ এর পক্ষে বলেছেন। শতকরা করা ২৪ ভাগ পুরুষ বলেছেন, যদি সম্ভব হয় তাহলে তারা রোবটের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়বেন। এ দলে আছেন শতকরা ৯ ভাগ যুবতী। ফলে রোবট নির্ভর শারীরিক সম্পর্ক যে ক্রমেই বাড়বে তারই একটি ইঙ্গিত মিলছে এ জরিপ থেকে। এতে সমাজে কি প্রভাব পড়বে সে বিষয়েটিতে তেমন আগ্রহ নেই কারো। আরো একটি প্রশ্ন করা হয়েছিল জরিপে অংশগ্রহণকারীদের কাছে। তাতে বলা হয়েছিলÑ আপনি অন্য একজন নারী বা পুরুষের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে গেছেন এ অবস্থায় রোবটের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন কি এক রকম প্রতারণা হবে না? শতকরা ৩২ ভাগ প্রাপ্ত বয়স্ক মার্কিনি এ প্রশ্নের ইতিবাচক জবাব দেন। শতকরা ৩৩ ভাগ বলেন, না।