কয়েক বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে প্রায় ৫ লাখ টন চাল রপ্তানি করবে ভারত। তবে এখনও দাম নির্ধারণ করা হয় নি। দাম ও চাল সরবরাহের সময়সীমা নির্ধারণে আগামী ১৫ই অক্টোবর বৈঠক আহ্বান করেছে বাংলাদেশের খাদ্য মন্ত্রণালয়। সরকার টু সরকার বা জি-টু-জি ভিত্তিতে এ চাল আমদানি করবে বাংলাদেশ। তাই চাল রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারতে কোনো টেন্ডার দেয়া হবে না। এ খবর দিযেছে ভারতের ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস। সূত্রের উদ্ধৃদি দিয়ে এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে এই ৫ লাখ টন চাল রপ্তানির জন্য ভারত সরকার কৃষি ভিত্তিক সমবায় সংস্থা নাফেড’কে অথরাইজ করেছে বা অনুমোদন দিয়েছে। এতে বলা হয়, এ বছর সাম্প্রতিক সময়ের ভয়াবহ বন্যায় বাংলাদেশে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে বাংলাদেশে ১৫ লাখ টন চালের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ জন্য আভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে ও বাফার স্টোক গড়ে তুলতে চাইছে বাংলাদেশ। বর্তমান অর্থ বছরে বেসরকারি পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা এরই মধ্যে বাংলাদেশে প্রায় ১৫ লাখ টন চাল রপ্তানি করেছে। এবার বাংলাদেশে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য যেমন ছত্তিশগড়, পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা থেকে চাল রপ্তানি করার আশা করছে নাফেড। কারণ, এসব এলাকার সঙ্গে বাংলাদেশের খাদ্যাভ্যাসের মিল রয়েছে। ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস আরো লিখেছে, এরই মধ্যে আভ্যন্তরণীণ পর্যায়ে চালের সরবরাহ বাড়াতে বাংলাদেশ গত কয়েক মাসে দু’দফা চালের ওপর থেকে আমদানি শুল্ক কমিয়েছে। সম্প্রতি বিদ্যমান শতকরা ১০ ভাগ শুল্ক কমিয়ে শতকরা ২ ভাগ করা হয়েছে। জুনে আমদানি শুল্ক ছিল ২৫ ভাগ। তা কমিয়ে আনা হয়েছিল শতকরা ১০ ভাগে। রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, এ বছর বাংলাদেশ সরকার এক কোটি ৯১ লাখ ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। কিন্তু দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় প্রায় ২০ লাখ টন ধান নষ্ট হয়ে গেছে। এ বিষয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশের খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন, একটি বিষয় পরিষ্কার হতে হবে। তা হলো, চাল আমদানির অর্থ এই নয় যে, এখানে সঙ্কট আছে। বাজারে সরবরাহ দেয়ার মতো পর্যাপ্ত চাল সরকারি গুদামে মজুদ আছে। ওই রিপোর্টে আরো বলা হয়, বর্তমানে বাংলাদেশের খুব কমন চালের দাম ৫০ টাকা কেজি। চার মাস আগে এর দাম ছিল ২৮ টাকা। অর্থাৎ এক্ষেত্রে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ৭৮ ভাগেরও বেশি।