দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদ। টিভি নাটকের কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সম্প্রতি নেপাল থেকে পাঁচটি নাটকের কাজ শেষ করে দেশে ফিরেছেন তিনি। উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হলো ‘বিভুই’, ট্যাক্সিক্যাব’ ও ‘লাস্ট সিকুয়েন্স’। এই নাটকগুলোতে তার বিপরীতে অপূর্ব নাঈম ও এস এম জনিকে দেখা যাবে। নাটকগুলো পরিচালনা করেছেন বি ইউ শুভ।নেপালে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন হলো জানতে চাইলে মৌসুমী হামিদ বলেন, নেপালে প্রায় পনের দিন কাজ করেছি। নেপালের কাঠমুন্ড, নাগরকোটসহ কয়েকটি স্থানে এই নাটকগুলোর শুটিং করেছি। কাজের ফাঁকে ফাঁকে আমরা অনেক মজা করেছি। বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়িয়েছি। গল্পের প্রয়োজনে এবং নাটকগুলোর লোকেশনে নতুনত্ব দেখাতে এই নাটকগুলোর সেখানে শুটিং করা হয়েছে। দেশে ফিরেই এই অভিনেত্রী আবারো শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। দিপ্ত টিভিতে ‘অলি’ শিরোনামের একটি ধারাবাহিকের কাজ করছেন তিনি। এই ধারাবাহিকের একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন বলে জানান। এছাড়া এটিএন বাংলায় তার অভিনীত ‘লাইফ ইন মেট্রো’ ধারাবাহিকটি প্রচার হচ্ছে। এদিকে খুব শিগগির সুমন আনোয়ারের ‘সুখী মীরগঞ্জ’ শিরোনামের একটি ধারাবাহিক প্রচারে আসছে। এই ধারাবাহিকটি নিয়ে মৌসুমী বেশ আশবাদী বলে জানান। ধারাবাহিকটির গল্প সম্পর্কে বলেন, গল্পে দেখা যাবে আমাকে অপহরণ করা হয়। আমি আবার তাকে বিয়ে করি, যে আমাকে অপহরণ করে। কেন বিয়ে করি তাকে সেটি দেখার জন্য সবাইকে নাটকটি দেখতে হবে। এই ধারাবাহিকে মৌসুমীর সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন নিশো। সাম্প্রতিক সময়ে মৌসুমী বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন। চরিত্রের বৈচিত্র্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ডাকাত রানী, লাঠিখেলা, চেয়ারম্যানসহ কয়েকটি ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছি। দর্শক এগুলো গ্রহণ করেছে। আমি এখন এমন নতুন নতুন চরিত্রে অভিনয় করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আগামী দিনেও এমন বৈচিত্র্যময় চরিত্রে দর্শক আমাকে দেখবে। এখনকার অধিকাংশ নাটকে ভালো গল্প দেখা যায় না বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে মৌসুমীর মন্তব্য কী? তিনি বলেন, আমাদের অনেক ধারাবাহিক ভালো দিয়ে শুরু হয়। কিন্তু খারাপের মধ্যদিয়ে শেষ হচ্ছে। এর জন্য বাজেট বড় সমস্যা। একটি পারিবারিক নাটকের জন্য অনেক শিল্পীর প্রয়োজন। কিন্তু ভালো বাজেট না থাকায় দু-চারজন ছাড়া আর প্রফেশনাল শিল্পীদের নেয়া সম্ভব হয় না। আমি মনে করি, ভালো বাজেট হলে ভালো গল্প নিয়ে কাজ করা যায়। চ্যানেল কর্তৃপক্ষরা নাটকের বাজেটের প্রতি আন্তরিক নয়। এজেন্সি ছাড়াও এখন বিভিন্ন মাধ্যমে নাটক নির্মাণ হচ্ছে। এক্ষেত্রে কাজের চেয়ে সবার বাণিজ্যিক চিন্তা-ভাবনা থাকে বেশি। ছোট পর্দার পাশাপাশি এই অভিনেত্রী বড় পর্দায়ও কাজ করেছেন। ‘জালালের গল্প’, ‘ব্ল্যাক মেইল‘, ও পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী-২’সহ বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন। বর্তমানে নতুন কোনো চলচ্চিত্রে তাকে দেখা যাচ্ছে না। চলচ্চিত্র থেকে দূরে থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি চলচ্চিত্র থেকে দূরে নেই। আমি নিয়মিত চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে চাই। আমার কাছে এরই মধ্যে বেশ কিছু ছবির প্রস্তাব এসেছে। কিন্তু আমি সেগুলো না করে দিয়েছি। সত্যি বলতে আমি যে ধরনের চরিত্রে আমি কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি তেমন চরিত্র ও গল্প পাচ্ছি না। আমার উপযুক্ত গল্প ও চরিত্র পেলে অবশ্যই চলচ্চিত্রে কাজ করবো। তিনি আরো বলেন, জালালের গল্প ছবিটি আমার অভিনয় ক্যারিয়ারের একটি সেরা কাজ। আমি চাই, এ ধরনের কোনো গল্পে কাজ করতে। পাশাপাশি বাণিজ্যিক ছবির জন্যও নিজেকে তৈরি করে রেখেছি। দর্শকদের কাছাকাছি আসার মতো গল্প ও চরিত্রের অপেক্ষায় আছি।