ঘন কুয়াশার কারনে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ফ্লাইটের সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। তৃতীয় দিনের মতো আজ রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিমান বন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা বিঘিœত হয়েছে।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার রিয়াজুল কবির ফ্লাইট বিপর্যয়ের কথা স্বীকার করে বলেন, এতে যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়েছে।
তিনি বলেন, দেশে বিরাজমান শৈত্য প্রবাহে গত কয়েকদিন ধরে চট্টগ্রামে ঘন কুয়াশা সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে গত তিনদিন ধরে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ফ্লাইটের সিডিউল বিপর্যয় চলছে। বিশেষ করে ভোর থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত বিমান বন্দরের রানওয়েতে ফ্লাইট উঠানামা বিঘিœত হচ্ছে।
তিনি জানান, তৃতীয় দিনের মতো আজ রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় ওমানের মাস্কট থেকে যাত্রী নিয়ে আসা ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে নামতে পারেনি। পরে সেটি কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
অন্যদিকে সিঙ্গাপুর থেকে যাত্রী নিয়ে আসা একই এয়ারলাইন্সের আরেকটি ফ্লাইট ঢাকায় নামতে না পেরে সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করেছে।
বাংলাদেশ বিমানের প্রথম ফ্লাইট সকাল ৯টা ৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঘন কুয়াশার কারনে সেটি যেতে পারেনি। একইভাবে সকাল সাড়ে ১০টার ফ্লাইটও যেতে পারেনি বলে জানান চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমান বন্দরের বাংলাদেশ বিমানের সুপারভাইজার শওকত হোসেন।
শাহ আমানত বিমান বন্দরের উইং কমান্ডার রিয়াজুল কবির আরও বলেন, ঢাকা থেকে ফ্লাইট আসতে না পারায় চট্টগ্রাম থেকে সঠিক সময়ে ছেড়ে যেতে পারছে না। রবিবার সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মোট চারটি ফ্লাইট চট্টগ্রাম থেকে সঠিক সময়ে বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যেতে পারেনি। চারটি ফ্লাইট নামতে পারেনি বলে জানান তিনি।