জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিং ছিল দুর্দান্ত। বাংলাদেশের জয়ে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। ম্যাচ সেরা সাকিব আল হাসান ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন তার মুগ্ধতার কথা। ম্যাচের পরদিন সহকারী কোচ রিচার্ড হ্যালসল শোনালেন অনুশীলনে মুস্তাফিজের নিবেদনের গল্প।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সোমবার ১০ ওভারে ২৯ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন মু্স্তাফিজ। বোলিং ফিগারও পুরাপুরি ফুটিয়ে তুলতে পারছে না কতটা ভালো বোলিং করেছেন বাঁহাতি পেসার। তার বোলিংয়ে ধুঁকেছে প্রতিপক্ষের সব ব্যাটসম্যান। এমনকি ফিফটি করা সিকান্দার রাজা ভুগেছেন সবচেয়ে বেশি। কাটারগুলো ছিল যথারীতি দুর্বোধ্য।
গত বছরের শেষভাগে অনেকের কণ্ঠেই মুস্তাফিজকে নিয়ে ছিল হাহাকার। ২০১৬ সালে অস্ত্রোপচার করিয়ে ফেরার পর শুরুর সময়ের সেই মুস্তাফিজকে পাওয়া যাচ্ছিল না বলে হতাশ ছিলেন অনেকে। যদিও পারফরম্যান্স তার খুব একটা খারাপ ছিল না। গত বছর শ্রীলঙ্কা সফরে তিন সংস্করণেই ভালো বোলিং করেছেন। এরপর আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয ওয়ানডে সিরিজেও ছিলেন উজ্জ্বল। তবে একদমই বিবর্ণ ছিলেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্র্রফিতে। চার ম্যাচে উইকেটে নিতে পেরেছিলেন মোটে একটি, ছিলেন ভীষণ খরুচে।
মঙ্গলবার অনুশীলনের আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে হ্যালসল বললেন, কাঁধের অস্ত্রোপচারের ধরনটির কারণেই নিজের সেরা চেহারায় ফিরতে কিছুটা সময় লাগছে মুস্তাফিজের।
“বেসবল খেলার দিকে যদি তাকান, তাদের অনেক পিচার (বল ছোড়েন যে খেলোয়াড়) এরকম চোটে ভোগে। ওরা সাধারণত ৯০ মাইল গতিতে বল ছোড়ে। এ ধরনের চোট পেলে সেটি কাটিয়ে আবার ৯০ মাইল গতিতে ফিরতে ওদের ২ বছরও লেগে যায়। মুস্তাফিজের দেড় বছরের মত হয়েছে চোটের পর। ওর গতি আস্তে আস্তে বেড়ে ৮৫ মাইল পর্যন্ত চলে এসেছে।”
“ওর কাটার সবসময়ই দারুণ ছিল। গতি প্রতি সপ্তাহেই বাড়ছে এখন। কাটারগুলো তাতে আরও বেশি কার্যকর হচ্ছে।”
সহকারী কোচ জানালেন, অনুশীলনে নিজেকে উজার করে দিয়ে ফল পাচ্ছেন মুস্তাফিজ।
“ওর আত্মবিশ্বাস ফিরে আসছে। সবচেয়ে দারুণ হলো এটা দেখতে পারা যে কতটা কঠোর পরিশ্রম করছে সে। নিজের স্কিল নিয়ে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে। নিজের স্কিলের প্রতি ওর যা আবেগ ও ভালোবাসা, সবাই সেটি দেখছে।”
“আমরা তামিম ও মুশফিককে দেখতাম নেটে কতটা খাটে। কিন্তু একজন বোলার প্রতিটি ট্রেনিং সেশনে এভাবে পরিশ্রম করছে, সেটি দেখতে পারাটাও দারুণ।”