চট্টগ্রামে স্কুল ছাত্রলীগ নেতা আদনান ইসফার (১৫) হত্যার ঘটনায় জড়িত ৫ কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাকা-ে ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরিটিও।
বুধবার দিনগত রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরাও স্কুল ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন।
গ্রেপ্তারকৃত স্কুল ছাত্রলীগ কর্মীরা হচ্ছে- আরমান, সাব্বির, মুনতাসির, মহিম ও আবু সাঈদ। তাদের মধ্যে আবু সাঈদ ছাড়া ৪ জন নগরী চান্দগাঁও হাজেরা তজু ডিগ্রী কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তবে এ হত্যাকা-ের ছুরিকাঘাতের মূলহোতা মঈনকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
মঈন হাজেরা তজু উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।
সে ওই স্কুলের স্কুল ছাত্রলীগ নেতা বলে জানান ওসি জসিম উদ্দিন।
ওসি জানান, মুনতাসিরকে নগরীর বাদুরতলা এবং বাকি ৪ জনকে ফটিকছড়ি উপজেলার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে। হত্যাকা-ের পর তারা ফটিকছড়ি উপজেলার আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন করেছিল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য. গত ১৬ই জানুয়ারি বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর কোতোয়ালী থানার জামালখান আইডিয়াল স্কুলের সামনে কলেজিয়েট স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র আদনান ইসফার (১৫) কে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে হাজেরা তজু উচ্চ বিদ্যালয়ের স্কুল ছাত্রলীগ নেতা মঈন।
গ্রেপ্তারকৃত আরমান, সাব্বির, মুনতাসির, মহিম ও আবু সাঈদসহ আরও কয়েকজন এ সময় মঈনের সহযোগী ছিলেন। সংগৃহীত সিসিটিভি ফুটেজ দেখে খুনিদের সনাক্ত করা হয় বলে জানান ওসি জসিম উদ্দিন।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানায়, স্কুল ছাত্রলীগ নিয়ে দু‘পক্ষের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরমধ্যে কলেজিয়েট স্কুলে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে আইডিয়াল স্কুলের সামনে আদনান ইসফারকে ছুরিকাঘাত করার পরিকল্পনা করে মঈন। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আদনানকে ছুরিকাঘাতের পর সে দৌড়ে পালানোর সময় খাস্তগীর স্কুলের সামনে পড়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
আদনানের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায়। খাগড়াছড়ির এলজিইডির প্রকৌশলী আখতারুল আজমের ছেলে। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের পেছনে আম্বিয়া ভবনের একটি বাসায় মা ও বোনের সঙ্গে থাকত সে। এ ঘটনায় আদনানের পরিবারের পক্ষ থেকে কোতোয়ালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।