রায়হান কবির,স্বদেশ নিউজ ২৪.কমঃ রাজধানীতে ফুটপাত দখল করে চলছে রমরমা বাণিজ্য। শুধু হকার নয়, সরকারি সেবা প্রদানকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দখলেও রয়েছে রাজধানীর ফুটপাত। ফলে রাস্তায় চলতে গিয়ে চরম বিড়ম্বনায় পড়েন পথচারীরা। ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে আইনের কঠোর প্রয়োগ জরুরি বলে মত দিয়েছেন নগরবিদরা।রাজধানীর ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, মগবাজার, মিরপুর, পুরান ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই ফুটপাথ দখল করে হকাররা চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসা। ফুটপাত! পায়ে চলার পথ। অথচ এই পথের অনেকটাই রয়েছে বিভিন্ন ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের দখলে। এমনিতেই গাড়ির চাপ তার ওপর ফুটপাত দখল। দখলমুক্ত করতে সিটি করপোরেশনের অভিযানে কাজ হচ্ছে না। তাই ঝুঁকি নিয়েই রাস্তার পাশ দিয়ে হাঁটতে হচ্ছে পথচারীদের।
ফার্মগেটের তেজগাঁও কলেজের সামনের চিত্র আরও ভয়াবহ। এখানে ফুটপাথ দখল করে গড়ে উঠেছে, চায়ের দোকান, খাবার হোটেল, ফলের দোকান এবং কাঁচাবাজারও। পান্থপথ মোড়ে ফুটপাত দখল করে তৈরি করা হয়েছে ট্রাফিক পুলিশের বক্স। পাশাপাশি ফুটপাতের মাঝখানে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে টেলিফোনের লাইনবক্স থাকায় বিড়ম্বনায় পড়েন পথচারীরা। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের(পবা) সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবহান আরটিভি অনলাইনকে বলেন, ফুটপাত হচ্ছে জনগণের চলার জন্য। কিন্তু ফুটপাতের সুবিধা পথচারীরা পান না। ফুটপাত মেরামত করা হয় না। তদারকিও হয় না। ফলে নগরবাসী প্রচুর ভোগান্তিতে পড়ছেন।নগরবিদ মোবাশ্বের হোসেন বলেন, যে শহরে জনগণ আনন্দের সঙ্গে হাঁটতে পারে, সে শহর হচ্ছে সভ্য শহর। সভ্য শহর বানানো খুব সহজ, শুধু নিয়মতান্ত্রিক অবস্থায় সবকিছু নিয়ে আসা। অবৈধভাবে ফুটপাত দখলের সঙ্গে এর পরিকল্পনাতেও ঘাটতি আছে। শুধুমাত্র উচ্ছেদ অভিযানের মাধ্যমেই এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। ফুটপাত দখলমুক্ত করার পর ফের যাতে বেদখল না হয় সেজন্য নগরবাসীকেও সচেতন হতে হবে।ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী খান মোহাম্মদ বিলাল আরটিভি অনলাইনকে বলেন, রাস্তা ও ফুটপাতের ওপর স্থাপনা করার আগে তাদেরকে সিটি করপোরেশন ও ডিএমপির সঙ্গে কথা বলা। যদি আলোচনার মাধ্যমে করা হয় তাহলে সেক্ষেত্রে কারো জন্য সমস্যা বয়ে আনবে না।এছাড়া সিটি করপোরেশন বলছে, আইন অমান্য করে যারাই ফুটপাত দখল করবে তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।