বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠকে কেন্দ্র করে আজ সবারই একটু বাড়তি আগ্রহ। প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে এই মাঠেই যে আজ মোহামেডান স্পোর্টিং ও ব্রাদার্স ইউনিয়নের ম্যাচে মোহামেডানের হয়ে খেলছেন সালমান বাট। ২০১০ সালে যে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারি গোটা ক্রিকেট দুনিয়ায় তোলপাড় ফেলেছিল, তার মূল হোতা তো ছিলেন তিনিই। মাঠে নেমেই অবশ্য মোহামেডানের সমর্থকদের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন, খেলেছেন ৬২ রানের একটি ইনিংস।
স্পট ফিক্সিং-কাণ্ডে কারাভোগও করতে হয়েছে পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ককে। নিষিদ্ধ ছিলেন পাঁচ বছর। পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরলেও এখনো জাতীয় দলের দরজা বন্ধই আছে তাঁর জন্য। এরই মধ্যে খেলতে এসেছেন বাংলাদেশের ক্লাব ক্রিকেটে।
টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়ে প্রাথমিক সাফল্য অবশ্য ব্রাদার্স পেয়েছিল। দলীয় ১৮ রানেই প্রথম উইকেট হারায় মোহামেডান। ৬ রানে ইফতেখার সাজ্জাদের বলে ইয়াসির আলী রাব্বীর ক্যাচ হয়ে ফেরেন রনি তালুকদার। এরপর অবশ্য শামসুর রহমানের সঙ্গে জুটি বেঁধে মোহামেডানকে অনেক দূর পৌঁছে দিয়েছেন সালমান। তিনি ৬২ রান করে অলোক কাপালির শিকার হয়েছেন। তাঁর ক্যাচটি নিয়েছেন শাখাওয়াত হোসেন। ইনিংসটি তিনি খেলেছনে ৮০ বলে, ৭টি চারের সাহায্যে।
সালমান ফিরলেও মোহামেডানের জন্য আশা হয়ে আছেন শামসুর রহমান। শেখ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনি ৮১ রানে অপরাজিত ছিলেন। এখনো পর্যন্ত ৯৮ বল খেলে ৬টি বাউন্ডারি ও ২টি ছক্কা মেরেছেন। মোহামেডানের সংগ্রহ ৩৯ ওভারে ২ উইকেটে ১৭৮ রান। শামসুর রহমানের সঙ্গে আছেন রকিবুল হাসান জুনিয়র।