রায়হান কবির,স্বদেশ নিউজ ২৪.কমঃ দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সহায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলনের বিভিন্ন কলাকৌশলন নিয়ে খুব শিগগিরই জেলা সফরে যাবেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতারা।
শনিবার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের বৈঠকে এমনটাই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
বৈঠক সূত্র জানায়, ঐক্য ও সংহতি অটুট রেখে দলের চেয়ারপারসনের মুক্তি ও সহায়ক সরকারের অধীন আগামী নির্বাচনের দাবি আদায়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সবাইকে একতাবদ্ধ থেকে একসুরে কথা বলার পরামর্শ দিতে বলা হয়েছে। দেশের চলমান পরিস্থিতি ও আগামী দিনের আন্দোলন নিয়েও বিভিন্ন ধরনের আলোচনা হয়েছে।
বৈঠক চলাকালে লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য মোবাইল ফোনে শোনানো হয়। মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, তারেক রহমান দলের চেয়ারপাসনের মুক্তি ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তার বক্তব্য দলকে আরও অনেক বেশী অনুপ্রাণিত করবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের এক সিনিয়র নেতা বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন কারাগারে যাওয়ার আগে সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কিছু বিষয়ে কথা বলে গেছেন। এই কথাগুলো উপদেষ্টা, ভাইস চেয়ারম্যান ও যুগ্ম মহাসচিবদের জানাতে মহাসচিব এই বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে চেয়ারপারসনের মুক্তি এবং গণতন্ত্রের আন্দোলন জোরদার করতে পর্যায়ক্রমে জেলা পর্যায়ে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদ লে.জে (অব:)মাহবুবুর রহমান, মির্জা আব্বাস, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার রফিকুল ইসলাম মিয়া, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস-চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, শামসুজ্জামান দুদু, ব্যারিষ্টার শাহজান ওমর(বীর উত্তম)নিতাই রায় চৌধুরী, আহমদ আযম খান, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, শওকত মাহমুদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবেদীন ফারুক, আতাউর রহমান ঢালী, আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, ফরহাদ হালিম ডোনার, এম এ কাইয়ুম, আবদুল হাই শিকদার, ড. সুকোল বড়ুয়া, বিএনপির বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হারুনুর রশিদ,খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলনসহ প্রায় অর্ধশত নেতা উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার সন্ধ্যা সাত থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত চলে এ বৈঠক। এ সময় চেয়ারপারসনের সম্মানে সভাপতির আসন খালি রাখা হয়।