রাফি সম্পাদনায় , স্বদেশ নিউজঃ
বাড়ির সবচেয়ে নোংরা জায়গা কোনটি তা জানলে অনেকেই অবাক হবেন। কারণ এমন জায়গা যে নোংরা হতে পারে তা অনেকেরই ধারণার বাইরে।
বাড়ির রান্নাঘর সবচেয়ে নোংরা স্থানের একটি। আর রান্নাঘরের সবচেয়ে নোংরা স্থানের মধ্যে রয়েছে সিংক বা থালাবাসন ধোয়ার স্থান। এক্ষেত্রে আপনি যতই সে স্থান পরিষ্কার করেন না কেন, দ্রুত সে স্থানটি আবার ব্যাকটেরিয়ার চারণক্ষেত্রে পরিণত হয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনকি আপনি যদি অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়া রাসায়নিক পদার্থ দিয়েও সে স্থানটি পরিষ্কার করেন তার পরেও তা নিরাপদ নয়।
বাস্তবে রান্নাঘর এমন একটি স্থান, যেখানে আপনি যতই পরিষ্কার করেন না কেন, তা আবার ব্যাকটেরিয়ায় পূর্ণ হয়ে যায়। রান্নাঘরে আপনি বাজার থেকে যে মাছ-মাংস কিংবা কাঁচাবাজার নিয়ে আসেন, সেগুলো ব্যাকটেরিয়ার বড় উৎস।
কিভাবে ছড়ায় রান্নাঘরের ব্যাকটেরিয়া? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধরুন আপনি বাজার থেকে মাংস কিনে এনে তা ধুয়ে রান্না করলেন। আর এটাই একটি বড় ভুল। কারণ মাংস ধোয়ার সময় তা থেকে ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়ে সারা রান্নাঘরে। আর তাই মাংস ধোয়ার কোনো প্রয়োজন নেই বলেই মনে করছেন তারা। কারণ রান্নার সময় এর ব্যাকটেরিয়া এমনিতেই মারা যাবে। না ধুয়ে সরাসরি রান্না করলে ব্যাকটেরিয়াও ছড়াবে না।
কিন্তু ঘন ঘন পরিষ্কার করে রান্নাঘরের এ ব্যাকটেরিয়াগুলো কি দূর করা সম্ভব? এ বিষয়ে বিজ্ঞানীরা বলছেন, একেবারেই না। বরং ঘন ঘন পরিষ্কার করলে ব্যাকটেরিয়াগুলো ছড়িয়ে পড়বে। এছাড়া এতে সময় ও পরিশ্রমও বৃথা নষ্ট হবে। তার বদলে শুধু দৃশ্যমান ময়লা থাকলে তখনই পরিষ্কার করা যেতে পারে।
বাড়ির রান্নাঘরের পরিষ্কার করার কাপড়, ধোয়ার সময় ঘষার জন্য ব্যবহৃত উপাদানও অত্যন্ত বিপজ্জনক।
রান্নাঘরের পরে বাড়ির বাথরুমে সর্বাধিক ব্যাকটেরিয়া থাকে। বাথরুমের টুথব্রাশ হোল্ডার ও বিভিন্ন হ্যান্ডেল এক্ষেত্রে সবচেয়ে বিপজ্জনক।
বাড়ির সবচেয়ে দূষিত স্থানগুলো নিয়ে গবেষকরা সম্প্রতি অনুসন্ধান করেছেন। তাদের অনুসন্ধানে দেখা গেছে বাড়ির সবচেয়ে দূষিত স্থানগুলো হলো-
১. রান্নাঘরের সিংক ৪৫ শতাংশ
২. রান্নাঘরের জিনিসপত্র রাখার স্থান ৩২ শতাংশ
৩. রান্নাঘরের কাটিং বোর্ড ১৮ শতাংশ
৪. বাথরুমের টুথব্রাশ হোল্ডার ২৭ শতাংশ
৫. বাথরুমের বিভিন্ন হাতল ৯ শতাংশ
বাড়ির সবচেয়ে নোংরা এ স্থানগুলো থেকে বহু ধরনের ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়ে রোগের কারণ হতে পারে। তাই সুস্থ থাকলে চাইলে এ স্থানগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।