এ পোনা রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদেই নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় উৎপাদন করা হচ্ছে। হ্রদের পানি ব্যবহার করে পোনা লালন পালনের পর, তা ছাড়া হলে পোনা মৃত্যুর হার কমবে। অন্যদিকে উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে বলে জানান তিনি। রাঙামাটি বিএফডিসির নিজস্ব হ্যাচারিতে কমপক্ষে ৬০টন কার্প জাতীয় মাছের পোনা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি।
প্রাথমিকভাবে উৎপাদনে সবটুকু কাপ্তাই হ্রদে ছেড়ে দেয়া হবে। রাঙামাটি সফরে বিএফডিসির কার্যালয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে মত বিনিময়ের সময় এ তথ্য জানান চেয়ারম্যান। এসময় কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক নৌ-বাহিনীর কমান্ডার মো. আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
বিএফডিসির চেয়ারম্যান বলেন, লেকে মাছ বাড়ানোই এখন প্রধান টার্গেট। তাই প্রাকৃতিক প্রজনন বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। রাঙামাটিতে সর্বোচ্চ রাজস্ব আয় আসে কাপ্তাই লেকের মৎস্য খাত থেকে। লেক ড্রেজিংয়ের জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকেও চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানান বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান।
কাপ্তাই হ্রদের পানিতে দিন দিন দূষনের মাত্রা বেড়েই চলেছে। তিনি বলেন, নানা কারণে দূষণের মাত্রা বাড়ায় বর্তমানে লেকের পানি অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পানি বর্তমানে মানুষের খাওয়ার উপযুক্ত নয়। তবে এ পানি মাছের জীবনধারণের জন্য ঠিক আছে।
হ্রদে জাক তৈরি করে কচুরিপানার উৎপাদন বাড়িয়ে ও ক্রিক দিয়ে মাছ চাষের ফলে, মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন বিনষ্ট হচ্ছে। জাঁক তৈরি করে ও ক্রিক বানিয়ে মৎস্য চাষে মাছের ‘ন্যাচারাল ব্রিডিং’ (প্রাকৃতিক প্রজনন) নষ্ট হচ্ছে।