পাটুরিয়ায় ফেরির যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে চলাচলরত ফেরির স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। এতে স্বাভাবিক যানবাহন পারাপার ব্যাহত হচ্ছে। ফলে উভয় ঘাটে অপেক্ষমান যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা অফিস সূত্রে জানা যায়, এ রুটের ফেরি বহরের মোট ১৬ টি ফেরির মধ্যে কার্যত ১২ টি ফেরি সচল রয়েছে। ১ টি রো-রো ফেরি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সম্পূর্ণ অচল রয়েছে। আরেকটি রো-রো ফেরি যান্ত্রিক ত্রুটি নিয়েই চলাচল করছে। অন্যান্য কয়েকটি ফেরি মাঝেমধ্যে যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য স্থানীয় ভাসমান কারখানায় সাময়িক মেরামতে আছে। এতে এ রুটে সচল ফেরির সংকট দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) জিল্লুর রহমান জানান, ফেরি সংকটের কারণে যানবাহন পারাপারে হিমশিম খেতে হচ্ছে। পাটুরিয়া প্রান্তে মঙ্গলবার দুপুরে ৩ শতাধিক যানবাহন ফেরি পারের অপেক্ষায় রয়েছে।
দৌলতদিয়া ঘাট ব্যাবস্থাপক শফিকুল ইসালাম জানান, একই কারণে দৌলতদিয়া প্রান্তে অনুরুপ ৩ শতাধিক যানবাহন ফেরি পারের অপেক্ষায় রয়েছে। সবমিলিয়ে উভয় প্রান্তে ৬ শতাধিক যানবাহন ফেরি পারের অপেক্ষায় আছে।
স্থানীয় ভাসমান কারখানা মধুমতির নির্বাহী প্রৌকাশলী এনামুল হক অপু জানান, শাহ কেরামত আলী রো-রো ফেরি বড় ধরনের যান্ত্রিক ত্রুটি দেয়ায় সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে। এটি মেরামতের (রি-ইঞ্জিনিয়ারিং) জন্য ডকইয়ার্ডে পাঠানো হবে। রো-রো ফেরি আমানত শাহ বড় ধরনের যান্ত্রিক ত্রুটি নিয়েই চলাচল করছে। এটি অনুরুপ মেরামত করা লাগতে পারে।
কুষ্টিয়াগামী বাস যাত্রী করিম শেখ জানান, অনেক সময় ধরে ঘাটে বসে রয়েছি। ছেলে-মেয়ে নিয়ে কুষ্টিয়া যাবো। গাড়ির মধ্যে দীর্ঘ সময় থাকতে খুব কষ্ট হচ্ছে।
ফরিদপুরগামী ট্রাক চালক জানান, ফেরির সমস্যার কথা বলছে। দুই দিন ধরে ফেরি পারের অপেক্ষায় রয়েছি। কখন পার হতে পারব বুঝতে পারছি না।
এ দিকে ঘাটে কর্মরত বাস-ট্রাক শ্রমিকরা জানান, ফেরির সংকটের কথা বলে সময়মত গাড়ির বুকিং দেয়া হচ্ছে না। ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরি পারের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। এদিকে, ঘাটের যানজট পরিস্থিতি মোকাবেলায় ঘাটমুখী ট্রাকগুলোকে আটকিয়ে ৫/৬ কিলোমিটার আগে থেকেই মহাসড়কে দাঁড় করিয়ে রাখছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন।